নতুন একটি ‘কৌশলগত নিয়ন্ত্রিত অস্ত্র’ পরীক্ষা করার কথা জানিয়েছে উত্তর কোরিয়া। অস্ত্রটিতে ‘শক্তিশালী ওয়ারহেড’ যুক্ত ছিল বলেও জানিয়েছে তারা।
কোনো সমঝোতা ছাড়াই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের আলোচনা শেষ হওয়ার পর প্রথমবারের মতো এ ধরনের একটি পরীক্ষার কথা জানালো দেশটি, খবর বিবিসির।
দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম নতুন এ পরীক্ষাটির খবর জানালেও বিস্তারিত কিছু জানায়নি। তবে এ পরীক্ষা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য হুমকি হিসেবে বিবেচনা করা দীর্ঘপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষায় ফিরে যাওয়া সংক্রান্ত কিছু নয় বলে ধারণা পশ্চিমা বিশ্লেষকদের।
নভেম্বরেও একই ধরনের আরেকটি পরীক্ষা চালানো হয়েছিল। পশ্চিমা বিশ্লেষকরা সেটিকে যুক্তরাষ্ট্রর ওপর চাপ সৃষ্টির উদ্যোগ হিসেবেই দেখেছিলেন।
কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সির (কেসিএনএ) খবর অনুযায়ী কিম নিজেই পরীক্ষাটির তদারকি করেছেন।
কেসিএনএর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “পৃথক লক্ষ্যস্থলে বিভিন্ন কায়দায় ছুড়ে পরীক্ষাটি করা হয়েছে।” এর মধ্যমে অস্ত্রটি স্থল, সাগর অথবা আকাশ থেকে ছোড়া হয়ে থাকতে পারে, এমনটি বোঝানো হয়েছে বলে বিশ্লেষকদের ধারণা।
এ পরীক্ষার মাধ্যমে ‘পিপলস আর্মির যুদ্ধ সক্ষমতার উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে’ বলে মন্তব্য করেছেন কিম।
কেসিএনএর প্রতিবেদনে খুব অল্প তথ্য দেওয়ার কারণে এটি কোনো ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র কি না তা পরিষ্কার হয়নি। তবে এটি যে একটি স্বল্পপাল্লার অস্ত্র, সে বিষয়ে পর্যবেক্ষকরা একমত বলে জানিয়েছে বিবিসি।
গত বছর উত্তর কোরীয় নেতা বলেছিলেন, পিয়ংইয়ংয়ের পারমাণবিক সক্ষমতা অর্জিত হওয়ায় তিনি পারমাণবিক পরীক্ষা বন্ধ করে দিবেন এবং আন্তর্মহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা আর করবেন না। তবে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ে ট্রাম্প ও কিমের মধ্যে শীর্ষ বৈঠক কোনো সমঝোতা ছাড়াই ভেঙে যায়।
এরপর দুই নেতা দ্রুতই হ্যানয় থেকে নিজ নিজ দেশে ফিরে যান। তারপর থেকে দুই দেশের মধ্যে পারমাণবিক আলোচনায় তেমন কোনো অগ্রগতি হয়নি।
আলোচনা অব্যাহত রাখার জন্য ট্রাম্পের ‘সঠিক মনোভাব’ থাকা দরকার বলে গত সপ্তাহে মন্তব্য করেছেন কিম।