প্রতিটি গ্রামে আধুনিক নগর সুবিধা সম্প্রসারণ করা হবে: কৃষিমন্ত্রী

ডেস্ক রিপোর্ট


বর্তমান সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার খাত হচ্ছে আধুনিক ও বাণিজ্যিক কৃষি। সে লক্ষ্য অর্জনে কাজ করছে সরকার। উন্নত বাংলাদেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেতে কৃষিকে অবশ্যই বাণিজ্যিক কৃষিতে রূপান্তর করে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

প্রতিটি গ্রামে আধুনিক নগর সুবিধা সম্প্রসারণের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেছেন, ‘নির্বাচনি ইশতেহারে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গীকার ছিল ‘আমার গ্রাম–আমার শহর’। আমরা প্রতিটি গ্রামে আধুনিক নগর সুবিধা সম্প্রসারণ করবো। উন্নয়নচিন্তার মধ্যে গ্রাম স্থান পাবে। নাগরিক আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা এবং নাগরিক অধিকার গ্রামেও নিশ্চিত করা হবে।

রাজধানীর একটি হোটেলে গ্লোবাল ফুড পলিসি রিপোর্ট ২০১৯ প্রকাশ অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘বর্তমানে ৬০ শতাংশ গ্রাম এলাকায় বিদ্যুৎ রয়েছে, সেখানে শিগগিরই দেশের প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে যাবে। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে গ্রামকে জেলা-উপজেলা শহরের সঙ্গে সংযুক্ত করা হবে। কর্মসংস্থানের জন্য জেলা-উপজেলায় কলকারখানা গড়ে তোলা হবে।’

কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘দারিদ্র্য-পীড়িত জনগোষ্ঠীর অধিকাংশই গ্রামাঞ্চলে বসবাস করেন। সেখানে নিরাপদ খাদ্য-পুষ্টি ও মৌলিক প্রয়োজনগুলোর অভাব রয়েছে এবং সুযোগ-সুবিধা সীমিত। শহরের মানুষের খাদ্য সরবরাহ করে গ্রামের কৃষক। তাই কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে, কৃষককে বাঁচাতে হলে কৃষিপণ্যের সঠিক মূল্য নিশ্চিত করতে হবে।

এখাতে বিনিয়োগ বাড়ানোর তাগিদে দিয়ে তিনি বলেন- ’বর্তমান সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার খাত হচ্ছে আধুনিক ও বাণিজ্যিক কৃষি। সে লক্ষ্য অর্জনে কাজ করছে সরকার। উন্নত বাংলাদেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেতে কৃষিকে অবশ্যই বাণিজ্যিক কৃষিতে রূপান্তর করে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।’

ফুড পলিসি রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে, বর্তমান বিশ্বে গ্রামীণ দারিদ্র্যের হার ১৭ শতাংশ এবং শহরে এ হার ৭ শতাংশ। যেমন জলবায়ু পরিবর্তন, বনাঞ্চল ধ্বংস, ভুমিধস এবং পরিবেশ দূষণের কারণে গ্রামীণ পরিবেশ হুমকির মুখে রয়েছে। রিপোর্টে মূল ফোকাস ছিল গ্রামের পুনরুজ্জীবনকে ত্বরান্বিত করা। প্রতিবেদনে ২০৩০ সালের মধ্যে গ্রামের মানুষের জীবনমানের উন্নয়নের কথা বলা হয়। এর মধ্যে রয়েছে- যোগাযোগ, বিদ্যুৎ ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন। এছাড়া কৃষির যান্ত্রিকীকরণ ও আধুনিক-বাণিজ্যিক কৃষি, নারীর ক্ষমতায়ন এবং সর্বোপরী গ্রামে কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে মানুষের আয়ের সংস্থান করার কথা রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ড. শামসুল আলম। উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানম প্রমুখ।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে