ফেনীর সোনাগাজীতে মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআই উপজেলা আ.লীগের সভাপতি রুহুল আমিনকে আটক করেছে।
আজ শুক্রবার বিকালে তাকে আটক করা হয় বলে পিবিআইর চট্টগ্রাম রেঞ্জের বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএসপি) মোহাম্মদ ইকবাল নিশ্চিত করেছেন।
গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, আমরা আজকে তাকে আটক করেছি। এর আগে একাধিক আসামির জবানবন্দিতে তার নাম এসেছে। তাই তাকে আটক করা হয়েছে। তিনি আমাদের হেফাজতে রয়েছেন।
ফেনী পিবিআইর অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান বলেন, রুহুল আমিনকে তার নিজ এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে।
এর আগে মামলার অন্যতম দুই আসামি নুরুদ্দিন এবং শাহাদত হোসেন শামীম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। এতে রুহুল আমিনের নাম ওঠে আসে।
শাহাদাত জবানবন্দিতে জানায়, নুসরাতের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার পর সে (শাহাদাত) দৌঁড়ে নিচে নেমে উত্তর দিকের প্রাচীর টপকে বের হয়ে যায়। এর মিনিট খানেকের মধ্যে নিরাপদ স্থানে গিয়ে রুহুল আমিনকে ফোনে নুসরাতকে আগুন দেওয়ার বিষয়টি জানায় সে।
তখন রুহুল আমিন তাকে বলেন, আমি জানি। তোমরা চলে যাও।
পিবিআই প্রধান ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার বলেন, রুহুল আমিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য এনেছি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
গ্রেপ্তার ১৯
নুসরাত হত্যা মামলায় এ পর্যন্ত ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলো মাদ্রাসা অধ্যক্ষ এসএম সিরাজ উদ্দৌলা, কাউন্সিলর ও পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ আলম, শিক্ষক আবছার উদ্দিন, সহপাঠী আরিফুল ইসলাম, নূর হোসেন, কেফায়াত উল্লাহ জনি, মোহাম্মদ আলা উদ্দিন, শাহিদুল ইসলাম, অধ্যক্ষের ভাগনি উম্মে সুলতানা পপি, জাবেদ হোসেন, জোবায়ের হোসেন, নুর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন শামীম, মো. শামীম, কামরুন নাহার মনি, জান্নাতুল আফরোজ মনি, শরীফ, হাফেজ আবদুল কাদের ও আওয়ামী লীগ নেতা রুহুল আমিন।
উল্লেখ্য, গত ৬ এপ্রিল ফেনীর সোনাগাজীতে মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি পরীক্ষা দিতে গেলে দুবৃর্ত্তরা তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। গুরুতর অবস্থায় ওই দিন রাতেই তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। ১০ এপ্রিল রাত সাড়ে নয়টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা যান নুসরাত।