রাফিকে পুড়িয়ে হত্যা: নজরদারিতে উপজেলা আ’লীগ সভাপতি

ডেস্ক রিপোর্ট

নুসরাত জাহান রাফি
নিহত মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি। ফাইল ছবি

ফেনীর সোনাগাজীতে মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাতকে নিপীড়নের পর পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার একাধিক আসামির জবানবন্দিতে একটি নাম উঠে এসেছে। তিনি হলেন সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রুহুল আমিন।তাকে নজরদারিতে রেখেছে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছে মামলার তদন্তকারী সংস্থা- পিবিআই (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন)।

পিবিআই জানায়, নুসরাত হত্যার ঘটনায় রুহুল আমিনের সংশ্লিষ্টতা নিয়ে যেসব অভিযোগ উঠেছে- সেগুলো খতিয়ে দেখা শুরু করেছে পিবিআই।

তদন্ত কমিটির প্রধান ও পুলিশ সদর দফতরের ডিআইজি এসএম রুহুল আমিন বৃহস্পতিবার বিকালে সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত শিক্ষক, গভর্নিং বডি, রাফির পরিবারের সদস্যসহ ১৫ জনের বক্তব্য রেকর্ড করেছি, তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেছি। এগুলো পর্যালোচনা করা হচ্ছে। তদন্তের আনুষঙ্গিক কার্যক্রম শেষ করতে আমাদের আরও ৪-৫ দিন লেগে যেতে পারে। চেষ্টা করব দ্রুততম সময়ের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে। বহিষ্কৃত অধ্যক্ষ সিরাজ উদ্দৌলার আরও অনেক অপকর্মের তথ্য পেয়েছি। সময়মতো ব্যবস্থা নিলে এ ধরনের ঘটনা ঘটত না।

স্থানীয়দের সন্দেহ এ ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি রুহুল আমিন সম্পৃক্ত। মূল আসামি অধ্যক্ষ সিরাজ উদ্দৌলাকে তিনি বাঁচানোর চেষ্টা করেছেন।

এর আগে নুসরাত হত্যাচেষ্টা মামলার প্রধান আসামি নিপীড়ক অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলার পক্ষে মামলা পরিচালনা করায় ফেনীর কাজীরবাগ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট কাজী বুলবুল সোহাগকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

মামলার তদন্তের বিষয়ে পিবিআই’র প্রধান ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার বলেন, নুসরাত হত্যার ঘটনার তদন্তে যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। পাশাপাশি সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার তদন্তও চলছে। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন জমা দেব।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে