‘খোকা যখন ছোট্ট ছিলেন’ পাঠে জানা যাবে শৈশবের বঙ্গবন্ধুকে

ডেস্ক রিপোর্ট

‘খোকা যখন ছোট্ট ছিলেন’
‘খোকা যখন ছোট্ট ছিলেন’ বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মৃতিকথামূলক আত্মজৈবনিক রচনা ‘শেখ মুজিব আমার পিতা’ অবলম্বনে নির্মিত চলচ্চিত্র ও বইটির নাম রাখা হয়েছে ‘খোকা যখন ছোট্ট ছিলেন’।

পরাধীনতার শিকল ভেঙে যিনি মানুষকে একটি স্বাধীন দেশ উপহার দিয়েছেন, যার তর্জনীর ইশারায় মাতৃভূমিকে রক্ষায় যুদ্ধে নেমেছিলেন হাজারও মানুষ, কেমন ছিল তার শৈশব? কিভাবে কেটেছে তার বেড়ে ওঠার দিনগুলো?

এমন ভাবনা থেকেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শৈশব নিয়ে একটি গ্রাফিক নভেল ও অ্যানিমেশন চলচ্চিত্র প্রকাশ করেছে হাসুমনির পাঠশালা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মৃতিকথামূলক আত্মজৈবনিক রচনা ‘শেখ মুজিব আমার পিতা’ অবলম্বনে নির্মিত চলচ্চিত্র ও বইটির নাম রাখা হয়েছে ‘খোকা যখন ছোট্ট ছিলেন’।

universel cardiac hospital

আজ শনিবার জাতীয় জাদুঘরের নলিনীকান্ত ভট্টশালী গ্যালারিতে চলচ্চিত্র ও বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।

শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে যে চলচ্চিত্র ও গ্রাফিক নভেলটি প্রকাশিত হয়েছে সেটি অনন্য। হাসুমনির পাঠশালার আয়োজন আমাকে মুগ্ধ করেছে।

শৈশবে বঙ্গবন্ধুকে খোকা নামে ডাকা হতো উল্লেখ করে স্পিকার বলেন, সে সময় মানুষের প্রতি তাঁর যে দরদ, মমতাময় ভালোবাসা ও বিপন্নকে সহায়তা করার বোধ বেশ চমৎকারভাবে ফুটে উঠেছে এই চলচ্চিত্রে।

তিনি বলেন, আমি আমার নির্বাচনি এলাকার শিশুদের এই চলচ্চিত্রটি দেখাব এবং গ্রাফিক নভেলটি উপহার দেব। আমি চাইব আমাদের সকল সংসদ সদস্য নিজের এলাকায় চলচ্চিত্র ও বইটি শিশুদেরকে উপহার দিক। সেইসঙ্গে বঙ্গবন্ধুর শৈশব নিয়ে রচনা প্রতিযোগিতা ও কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। যাতে করে শিশুরা বইটি পড়তে ও চলচ্চিত্রটি দেখতে আগ্রহী হয়।

এসময় সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, এদেশে সবকিছু নিয়ে বিতর্ক চলতে পারে তবে জাতির পিতার প্রশ্নে আমাদেরকে আপোষহীন হতে হবে। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে যেন কোনো বিতর্ক না হয় সেদিকে আমাদেরকে খেয়াল রাখতে হবে। বঙ্গবন্ধুর কর্মময় ও সংগ্রামী জীবন সবার কাছে সহজ ভাষায় পৌঁছে দিতে হবে।

হাসুমনির পাঠশালার আয়োজনে অনুষ্ঠানে চলচ্চিত্র ও বই প্রকাশের পাশাপাশি সিরিজ চিত্রকর্ম, সূচিশিল্প ও বায়োস্কোপের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর বেড়ে ওঠার দিনগুলোকে প্রদর্শন করা হয়।

সংগঠনটির সভাপতি মারুফা আক্তার পপি ছাড়াও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আকরাম আল হোসেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক নিলুফার আহমেদ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জুনায়েদ হালিম, গ্রাফিক চলচ্চিত্রের পরিচালক সুদীপ্ত সাহাসহ অন্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

আয়োজকরা জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে হাসুমনির পাঠশালা সারা বছর ধরে দেশব্যাপী নানা উৎসবের আয়োজন করবে।

২০২০ সালের ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মগ্রহণের শততম বছর পূর্ণ হবে। বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মবার্ষিকী উদযাপনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে শেখ রেহানাসহ ১০২ সদস্যের জাতীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে ইতোমধ্যে। একই সঙ্গে ৬১ সদস্যের একটি বাস্তবায়ন কমিটিও গঠন করা হয়েছে।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে