টিআইবির প্রতিবেদন ‘নিম্নমানের’ ‘ঢালাও রিপোর্ট’: ওয়াসা

ডেস্ক রিপোর্ট

ওয়াসা
ছবি-সংগৃহিত

‘ঢাকা ওয়াসায় অনিয়ম রয়েছে, পানি সুপেয় নয় এবং সক্ষমতার ঘাটতি রয়েছে।’ সম্প্রতি ওয়াসা সম্পর্কে টিআইবির এই প্রতিবেদনকে ‘নিম্নমানের’, ‘ঢালাও’, ‘স্ট্যান্টবাজি’ বলে উল্লেখ করছে।

আজ শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ খান।

তিনি বলেন, এটা প্রোফেশনাল কোনো গবেষণার প্রতিবেদন নয়, এটা একটা রিপোর্টের মতো হয়েছে। এটা নিম্নমানের ও ঢালাও রিপোর্ট। রিপোর্টে টিআইবি নিজেদের পার্সপেক্টিভ উল্লেখ করেছে, এটা বৈজ্ঞানিক ভিত্তিতে ডাটা কালেক্ট করতে পারেনি। রিপোর্টে উল্লেখ করা ওয়াসার অনিয়মের অভিযোগটি ঢালাও।

universel cardiac hospital

এর আগে বুধবার টিআইবির পক্ষ থেকে ‘ঢাকা ওয়াসা: সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

প্রতিবেদনে ওয়াসার অনিয়ম ও দুর্নীতি সম্পর্কে বলা হয়, সেবাগ্রহীতাদের ৮৬.২ ভাগ ওয়াসার কর্মচারী এবং ১৫.৮ ভাগ দালালকে ঘুষ দিয়ে থাকেন।

এর মধ্যে পানির সংযোগ গ্রহণে ২০০ থেকে ৩০০০০ টাকা, পয়ঃনিষ্কাশন লাইনের প্রতিবন্ধকতা অপসারণে ৩০০ থেকে ৪৫০০ টাকা, গাড়িতে করে জরুরি পানি সরবরাহ করার ক্ষেত্রে ২০০ থেকে ১৫০০ টাকা, মিটার ক্রয়/পরিবর্তন করতে ১০০০ থেকে ১৫০০০ টাকা মিটার রিডিং ও বিল-সংক্রান্ত বিষয়ে ৫০ থেকে ৩০০০ টাকা এবং গভীর নলকূপ স্থাপনে এক লাখ থেকে দুই লাখ টাকা পর্যন্ত ঘুষ গ্রহণ করা হয়।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ঢাকা ওয়াসার পানির নিম্নমানের কারণে ৯৩ শতাংশ গ্রাহক বিভিন্ন পদ্ধতিতে পানি পানের উপযোগী করে। এর মধ্যে ৯১ শতাংশ গ্রাহকই পানি ফুটিয়ে বা সেদ্ধ করে পান করে। গৃহস্থালি পর্যায়ে পানি ফুটিয়ে পানের উপযোগী করতে প্রতিবছর আনুমানিক ৩৩২ কোটি টাকার গ্যাসের অপচয় হয়।

পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন সেবার নিম্নমান এবং সেবা সম্পর্কে প্রায় এক-তৃতীয়াংশের বেশি সেবাগ্রহীতা অসন্তুষ্ট।

এছাড়া গ্রাহক সেবায় এলাকাভেদে সেবার মানের তারতম্য ও ন্যায্যতার ঘাটতি-চাহিদা অনুযায়ী পানি না পাওয়ার হার সবচেয়ে বেশি বস্তিবাসীর ক্ষেত্রে।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে