ফখরুল-জাফরুল্লাহ সহ ৪ জনের নামে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা

ডেস্ক রিপোর্ট

মির্জা ফখরুল ও জাফরুল্লাহ চৌধুরী
মির্জা ফখরুল ও জাফরুল্লাহ চৌধুরী। ফাইল ছবি

কিশোরগঞ্জে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীসহ ৪ জনের নামে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।

মামলায় অন্য আসামিরা হলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু ও গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দেলোয়ার হোসেন।

universel cardiac hospital

কিশোরগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত নং ৩ এ ১২৪ (ক) দণ্ডবিধিতে বৃহস্পতিবার মামলার অভিযোগ দায়ের করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ও জয় বাংলা মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভাপতি আকরাম হোসেন বাদল।

বিচারক মুহাম্মদ আবদুন নূর মামলাটি আমলে নিয়ে পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, আসামিরা একে অপরের সহযোগিতা ও প্ররোচণায় বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন সময়ে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করে রাষ্ট্রের উন্নয়নমূলক কাজের ক্ষতি সাধন করে আসছেন।

গত ১ এপ্রিল জাতীয় প্রেসক্লাবে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী এবং ৪ এপ্রিল রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন এলাকায় মির্জা ফখরুল ইসলাম প্রকাশ্য রাজপথে স্লোগানের মাধ্যমে আগুন জ্বলছে আরও জ্বলবে এবং ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে আন্দোলন করে সরকারের পতন ঘটানোর হুমকি দেন।

আসামিরা একে অপরের সহযোগিতায় দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আগুন দিয়ে স্লোগান দেন। সরকার পুনরায় নির্বাচন না দিলে দেশের বিভিন্ন স্থানে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেশ ধ্বংস করে বর্তমান সরকারের পতন ঘটানোরও হুমকি দেন তারা।

মামলার অভিযোগে প্রমাণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়, চকরিয়া, সিলেট উপশহর, রাজধানীর চলন্ত বাসে আগুন, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন, ঢাকার কাওরান বাজার, বারিধারা, খিলগাঁও বাজার এবং পাকুন্দিয়া উপজেলার মঠখোলা বটতলা মোড়ে আগুন জ্বলছে। এতে জনমনে এবং রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্তরে আতংকের সৃষ্টি হয়।

এ ব্যাপারে এপিপি একেএম শফিকুল ইসলাম বলেন, ১২৪ (ক) দণ্ডবিধিতে আমি মামলাটি ফাইল করি। বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পাকুন্দিয়া থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন। আমি এই মামলায় ন্যয় বিচার পাব বলে আশাবাদী।

পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইলিয়াস বলেন, আমি মামলার বিষয়টি শুনেছি। তবে এখনো অফিসিয়ালি কোনো আদেশ পাইনি।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে