১৪ দলের মুখপাত্র ও সাবেক মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম নতুন গজিয়ে ওঠা আওয়ামী লীগার যারা ‘হাইব্রিড’ নামে পরিচিত, তারা ঐতিহ্যবাহী এই দলটির অপূরণীয় ক্ষতি করছে বলে মন্তব্য করেছেন।
তিনি বলেন, হাইব্রিডরা বিএনপি-জামায়াতের প্রেতাত্মা। তা না হলে হত্যাকারীদের কেউ আশ্রয় দিতে পারে না। এমন দুই-একজনের জন্য আমাদের সব অর্জন নষ্ট হতে দিতে পারি না।
আজ সোমবার বিকালে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় ১৪ দল এই আলোচনা সভার আয়োজন করে। মোহাম্মদ নাসিম এতে সভাপতিত্ব করেন।
২৬ এপ্রিল মতিঝিলে সমাবেশ
নাসিম বলেন, খুনি, দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আমাদের সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। সেই লক্ষ্যে আগামী ২৬ এপ্রিল মতিঝিলে একটি সমাবেশ করব। কেন্দ্রীয় ১৪ দলের নেতৃবৃন্দ সকল অপকর্মের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছে।
সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, বিএনপি বিভিন্ন জাতীয় দিবস পালন না করে, জনগণের সাথে প্রতারণা করে ইতিহাস অস্বীকার করতে চায়। যারা জাতীয় দিবসগুলো পালন করে না তারা কী করে স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে?
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে দলের নেতাদের দেওয়া বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, তার চিকিৎসা কীভাবে হবে তা নির্ধারণ করবেন ডাক্তাররা। দলের নেতারা কেন খালেদা চিকিৎসার ব্যাপারে জনগণকে বিভ্রান্ত করছেন।
মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, যারা ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর দিবস পালন করে না তারা স্বাধীনতার পক্ষের বা স্বাধীনতার বিশ্বাস করে এটা আমার বিশ্বাস হয় না। হঠাৎ করে স্বাধীনতার পেক্ষপট তৈরি হয়নি। দীর্ঘ ২৩ বছর ধরে এই প্রেক্ষাপট বঙ্গবন্ধু তৈরি করেছিলেন।
ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, আজ বিএনপি-জামায়াতকে কোণঠাসা করতে পেরেছি কিন্তু রাজনৈতিকভাবে পুরোপুরি পরাজিত করতে পারিনি। আজ উগ্রসাম্প্রদায়িক শক্তি মাথা চাড়া দিয়ে উঠার চেষ্টা করছে। উগ্রসাম্প্রদায়িক শক্তি শ্রীলঙ্কায় হামলা করেছে। এদেশকে আমরা এই ধ্বংসের কিনারায় ঠেলে দেব কি না আজ আমাদের ভাবতে হবে।
জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, যারা মুজিবনগর দিবস পালন করে না তারা পাকিস্তানের দালাল। পাকিস্তানপন্থী বিএনপি মুজিবনগর দিবসকে অস্বীকার করে। জামায়াত ও জঙ্গিবাদকে এই বিএনপি পৃষ্ঠপোষকতা করে। এই বিএনপি-জামায়াত রাজনৈতিক মঞ্চ থেকে বিতারিত না হলে গণতন্ত্র মজবুত হবে না। এদেরকে রাজনীতির মঞ্চ থেকে চিরতরে বিদায় জানাতে হবে। এদের ব্যাপারে ঐক্যবব্ধ থাকতে হবে।