নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম বলেছেন, রোহিঙ্গাদের ভোটার করলে তথ্য সংগ্রহকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে নির্বাচন কমিশন। তিনি বলেন, বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার ও জাতীয় পরিচয়পত্রের কাজ হালনাগাদ করতে হবে। স্কুল ও দোকানে বসে হালনাগাদ কার্যক্রম করা যাবে না।
মঙ্গলবার থেকে সারাদেশে ভোটার ও জাতীয় পরিচয়পত্র হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। এ কার্যক্রম উপলক্ষে সীতাকুণ্ডে তথ্যসংগ্রহকারী ও সুপারভাইজারদের এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ব্রিফিংকালে নির্বাচন কমিশন এ কথা বলেন। সোমবার দুপুরে সীতাকুণ্ড উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা প্রশাসন ও নির্বাচন অফিস আয়োজিত এ ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়।
সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন রায়ের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন- চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান, সিনিয়ন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মুনীর হোসাইন খান।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, মঙ্গলবার থেকে সারাদেশে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। আগামী ১৩ মে পর্যন্ত বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদের তথ্য সংগ্রহের এই কার্যক্রম চলবে।
তিনি আরও বলেন, আগে হালনাগাদ করার সময় চার আঙুলের ছাপ নেওয়া হলেও এবার নেওয়া হবে ১০ আঙুলের ছাপ। এছাড়া এবারে তৃতীয় লিঙ্গের (হিজড়া) নাগরিকদের নাম ও পরিচয় দুই নম্বর ফরমে পূরণ করবে তথ্যসংগ্রহারীর। পরবর্তী প্রজন্মকে একটি নির্ভুল জাতীয় পরিচয়পত্র দিতে সবার সহযোগিতা কামনা করেন এই নির্বাচন কমিশনার।
যাদের জন্ম ২০০১ সালের ১ জানুয়ারি বা তারও আগে তারা হালনাগাদ ভোটার তালিকায় নিবন্ধিত হতে পারবেন। পাশাপাশি ভোটার তালিকা থেকে নাম কাটার জন্য মৃত ভোটারদের তথ্যও সংগ্রহ করা হবে। যাদের জন্ম ২০০১ সালের ১ জানুয়ারির পর থেকে ২০০৪ সালের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত তাদের তথ্যও সংগ্রহ করা হবে। এবারের হালনাগাদে তারা ভোটার না হলেও পরবর্তীদের তাদের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হলে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। অন্যদিকে ২০০১ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে যাদের জন্ম তারা ২০২০ সালের নতুন ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবেন।