রোহিঙ্গা ইস্যুতে ঢাকা আসছে জাতিসংঘের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিরা

ডেস্ক রিপোর্ট

রোহিঙ্গা
ফাইল ছবি

কক্সবাজারের একাধিক শিবিরে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের নাগরিক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর পরিস্থিতি সরেজমিন দেখতে বাংলাদেশে সফরে আসছেন জাতিসংঘের উচ্চ পর্যায়ের তিন প্রতিনিধি। সোমবার (২২ এপ্রিল) জাতিসংঘের বাংলাদেশ কার্যালয় থেকে এক বার্তায় জানানো হয় আগামী ২৪ থেকে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত তারা বাংলাদেশ সফর করবেন।

তারা হচ্ছেন জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার হাইকমিশনার ফিলিপ গ্রান্ডি, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) মহাপরিচালক অ্যান্তনিও ভেতরিনো এবং জরুরি ত্রাণ ও মানবিক সহায়তার সমন্বয়ক মার্ক লোকক।

universel cardiac hospital

জাতিসংঘের বাংলাদেশ কার্যালয় জানিয়েছে, সফরের শুরুতেই জাতিসংঘের উচ্চ পর্যায়ের তিন প্রতিনিধি ঢাকায় সরকারি এবং বেসরকারি পর্যায়ের একাধিক প্রতিনিধির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। রোহিঙ্গা ইস্যুতে জরুরি ত্রাণ ও মানবিক সংকট কাটাতে বাংলাদেশের কী ধরণের সহায়তা প্রয়োজন এই বিষয়ে জাতিসংঘের প্রতিনিধিরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করবেন।বিজ্ঞাপন

ঢাকা সফর শেষে জাতিসংঘের উচ্চ পর্যায়ের এই প্রতিনিধিরা কক্সবাজারের একাধিক রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শনে যাবেন। সেখানে তারা আগামী বর্ষা মৌসুমের জন্য খাবার, আশ্রয়সহ রোহিঙ্গা শিবিরগুলোর কী ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে এবং কী ধরনের প্রস্তুতি নিতে হবে তা জানার চেষ্টা করবেন।

জাতিসংঘের উচ্চ পর্যায়ের এই প্রতিনিধিদের সফরের মূল কারণ সম্পর্কে বৈশ্বিক এই সংস্থার বাংলাদেশ কার্যালয় জানিয়েছে, এই সফরের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা জোরদার এবং সমাধানের জন্য আন্তর্জাতিক বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করা। পাশাপাশি মিয়ানমারের রাখাইনে ইতিবাচক পরিস্থিতির সৃষ্টি করা যাতে রোহিঙ্গারা স্বেচ্ছায়, নিরাপদে এবং পূর্ণ নাগরিক অধিকার নিয়ে তাদের বসত-ভিটায় ফিরতে পারেন।

গত ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রাখাইনে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর নির্যাতন শুরু হলে প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে প্রায় সাত লাখেরও বেশি মিয়ানমারের নাগরিক। সব মিলিয়ে মিয়ানমারের নাগরিক ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী বাংলাদেশের একাধিক শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন।

জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন এই ঘটনাকে জাতিগত নিধনযজ্ঞের ‘পাঠ্যপুস্তকীয় উদাহরণ’ বলে আখ্যা দিয়েছে। রাখাইন সহিংসতাকে জাতিগত নিধন আখ্যা দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও। তুমুল সমালোচনা করছে যুক্তরাজ্য, কানাডা, কুয়েত, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ পুরো বিশ্ব।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে