ভোটার তালিকা হালনাগাদ শুরু হচ্ছে মঙ্গলবার

ডেস্ক রিপোর্ট

রাজধানীর ভোটাররা নিবন্ধনের জন্য কখন, কোথায় যাবেন
ফাইল ছবি

নির্বাচন কমিশন (ইসি) আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে ভোটার তালিকা হালনাগাদে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু করবে। সারাদেশে কয়েকটি ধাপে হালনাগাদ কার্যক্রম চলবে। প্রথম ধাপে ২৩ এপ্রিল থেকে ১৩ মে পর্যন্ত ৬৪ জেলার ১৩৫টি উপজেলা/থানায় ভোটারের তথ্যসংগ্রহ করা হবে।

ইসি সচিবালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ জানান, এবার সারাদেশে ৮০ লাখ ভোটারের তথ্য সংগ্রহ করার টার্গেট নিয়ে কমিশন ভোটার হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু করবে।

সচিব বলেন, এবার হালনাগাদ কার্যক্রমে ২০০৪ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে যাদের জন্ম এসব নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এরমধ্যে যাদের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হবে তাদের নাম ২০২০ সালে প্রকাশিত ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

আর তাদের বয়স এখনো ১৮ বছর পূর্ণ হয়নি, তাদের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে।

এছাড়া বিগত হালনাগাদ কার্যক্রমে যারা বাদ পড়েছিলেন ভোটার তালিকায় নিবন্ধনের জন্য তাদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। হালনাগাদ কার্যক্রমে নতুন ভোটারের পাশাপাশি মৃত ভোটারের নাম তালিকা থেকে বাদ দেয়া হবে এবং ভোটার স্থানান্তরের আবেদন নেয়া হবে। এবারের হালনাগাদে হিজড়া জনগোষ্ঠী ‘হিজড়া’ হিসেবে ভোটার তালিকায় নিবন্ধিত হতে পারবেন।

বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহের পর ২৫ মে থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত নির্ধারিত কেন্দ্রে নাগরিকদের আঙুলের ছাপ সংগ্রহ ও নিবন্ধনের কাজ চলবে।

এবার ৫২ হাজার ৫০০ জন তথ্য সংগ্রহকারী, ১০ হাজার ৫০০ জন সুপারভাইজার ও ৭৮০ জন সহকারী রেজিস্ট্রেন অফিসার এই কর্মযজ্ঞে নিয়োজিত থাকবেন।

আগামীকাল থেকে যেসব এলাকায় তথ্যসংগ্রহ কার্যক্রম শুরু হবে এগুলো হলো-

রংপুর বিভাগের পঞ্চগড় পঞ্চগড় সদর, ঠাকুরগাঁও সদর, দিনাজপুর সদর ও নবাবগঞ্জ, নীলফামারী সদর ও ডিমলা, লালমনিরহাট সদর, রংপুর সদর ও পীরগঞ্জ, কুড়িগ্রাম সদর ও রৌমারী এবং গাইবান্ধা সদর ও ফুলছড়ি উপজেলা।

রাজশাহী বিভাগের জয়পুরহাট সদর, বগুড়া সদর, দুপচাচিয়া ও সারিয়াকান্দি এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট, নওগাঁ সদর, পোরশা ও বদলগাছি, রাজশাহীর বোয়ালিয়া ও রাজপাড়া, নাটোর সদর ও সিংড়া, সিরাজগঞ্জ সদর ও তাড়াশ, পাবনা সদর ও ইশ্বরদী উপজেলা।

খুলনা বিভাগের মেহেরপুর সদর, কুষ্টিয়া সদর ও দৌলতপুর, চুয়াডাঙ্গা সদর, ঝিনাইদহ সদর ও হরিণাকুন্ডু, যশোর সদর, অভয়নগর, বাঘারপাড়া, মাগুড়া সদর, নড়াইল সদর, বাগেরহাট সদর, খুলনা সদর, সোনাডায্গা ও দৌলতপুর, সাতক্ষীরা সদর ও তালা উপজেলা।

বরিশাল বিভাগের বরগুনা সদর, পটুয়াখালী সদর ও গলাচিপা, ভোলা সদর ও মনপুরা, বরিশাল সদর, আগৈলঝাড়া ও গৌরনদী, ঝালকাঠি সদর, পিরোজপুর সদর ও নেসারাবাদ উপজেলা।

ঢাকা বিভাগের গোপালগঞ্জ সদর, টুঙ্গিপাড়া, মাদারীপুরের কালকিনি, শরীয়তপুর সদর ও ডামুড্যা, ফরিদপুরের ভাঙ্গা ও সদরপুর, রাজবাড়ী সদর, মানিকগঞ্জ সদর ও শিবালয়, মুন্সিগঞ্জ সদর ও গজারিয়া, নরসিংদীর মনোহরদী ও পলাশ, নারায়ণগঞ্জ সদর ও আড়াইহাজার, ঢাকার দোহার, নবাবগঞ্জ, কেরানীগঞ্জ, সাভার, সুত্রাপুর, কোতয়ালী ও ডেমরা, গাজীপুরের শ্রীপুর, কালিগঞ্জ ও কাপাসিয়া উপজেলা।

ময়মনসিংহ বিভাগের টাঙ্গাইল সদর, সখীপুর ও ঘাটাইল, জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ ও মাদারগঞ্জ, শেরপুরের শ্রীবর্দী, ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া, ভালুকা, ইশ্বরগঞ্জ ও গফরগাঁও, নেত্রকোনা সদর ও কলমাকান্দা, কিশোরগঞ্জ সদর, পাকুন্দিয়া ও তাড়াইল উপজেলা।

সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জ সদর ও বিশ্বম্ভপুর, সিলেট সদর, বালাগঞ্জ ও কানাইঘাট, মৌলভীবাজার সদর ও শ্রীমঙ্গল, হবিগঞ্জ সদর ও বাহুবল উপজেলা।

চট্টগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ও নাসিরনগর, কুমিল্লার লালমাই, ব্রাহ্মণপাড়া, বুড়িচং, লাকসাম ও হোমনা, চাঁদপুর সদর ও হাজীগঞ্জ, ফেনী সদর ও পরশুরাম, নোয়াখালী সদর, কোম্পানীগঞ্জ ও সেনবাগ, লক্ষীপুর সদর ও রামগতি, চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডু, মিরসরাই, কর্ণফুলী, লোহাগড়া, চন্দনাইশ ও আনোয়ারা, কক্সবাজার সদর ও কুতুবদিয়া, খাগড়াছড়ি সদর, রাঙামাটি সদর ও বান্দরবান সদর উপজেলা।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে