‘খালেদা জিয়া কখনোই স্বৈরাচারের কাছে আত্মসমর্পণ করেননি’

ডেস্ক রিপোর্ট

খালেদা জিয়ার মুক্তি নিয়ে দরকষাকষি বাজে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। ৩০ এপ্রিলের মধ্যে জানা যাবে বিএনপি থাকবে কি থাকবে না। আওয়ামী লীগ নেতাদের এসব বক্তব্যের জবাবে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, খালেদা জিয়া আপসহীন নেত্রী হিসেবেই জনগণের কাছে প্রতিষ্ঠিত। সুতরাং তিনি কখনোই অন্যায়ের কাছে মাথানত করেননি। কোনো স্বৈরাচারের কাছে আত্মসমর্পণ করেননি।

মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

দরকষাকষির দৃষ্টান্ত কার আছে সেটি আওয়ামী নেতারা নিজেরাই জানেন উল্লেখ করে রিজভী বলেন, না জানলে আপনাদের নেত্রীকে জিজ্ঞেস করুন। এরশাদের নির্বাচনে যে যাবে সে জাতীয় বেঈমান হবে বলে আপনাদের নেত্রী দরকষাকষি করে সেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন। জাতীয় বেঈমানের মুকুট তিনি নিজেই নিজের মাথায় পড়ে ক্ষমতার হালুয়া-মোরব্বার ভাগ পেয়েছিলেন। কিভাবে একটি অবৈধ ও অসাংবিধানিক ফখরুদ্দিন-মঈনুদ্দিন সরকারের সঙ্গে দরকষাকষি করে ক্ষমতায় এসেছিলেন সেটিও নিশ্চয়ই ভুলে যাননি। অগণতান্ত্রিক সরকারের সঙ্গে দরকষাকষি ও দেন-দরবারের ঐতিহ্য আওয়ামী লীগের আছে বিএনপির নয়।

তিনি বলেন, রাষ্ট্রশক্তিকে ব্যবহার করে নির্দোষ খালেদা জিয়াকে যেভাবে বন্দি করে রাখা হয়েছে সেটিই ইতিহাসে কলঙ্কজনক অধ্যায় হিসেবে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। আজ গণতন্ত্র ও গণতন্ত্রের প্রতীক দেশনেত্রী খালেদা জিয়া শেখ হাসিনার কারাগারে বন্দি। দেশের প্রতিটি মানুষ জানে এবং বিশ্বাস করে খালেদা জিয়া নির্দোষ। দেশ থেকে আইনের শাসনকে সমাহিত করে পুলিশি শাসন কায়েম করা হয়েছে।

বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে বর্তমানে ভীষণ অসুস্থ জানিয়ে রিজভী বলেন, কয়েক দিন আগে তাকে চিকিৎসার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলেও যথাযথ চিকিৎসা না দিয়ে পুনরায় কারাগারে ফেরত পাঠানো হয়।

যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমি, খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারি শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, লায়ন আসলাম চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, বিএনপি নেতা অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন, শহিদুল ইসলাম বাবুল, শেখ রবিউল ইসলাম রবি, শেখ মোহাম্মদ শামীম, হযরত আলী, মিয়া নুর উদ্দিন অপু, ইসাহাক সরকারসহ দেশব্যাপী হাজার হাজার বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি জানান রিজভী।

শ্রীলঙ্কায় বোমা হামলায় নিহতের ঘটনায় শোক প্রকাশ করে রিজভী বলেন, ইস্টার সানডের প্রার্থনার সময় শ্রীলঙ্কায় তিনটি গির্জা ও তিনটি পাঁচতারা হোটেলে একযোগে বোমা হামলার জঘন্য, নিষ্ঠুর এবং পাশবিক ঘটনায় বিএনপির পক্ষ থেকে গভীর দুঃখ ও শোক প্রকাশ করছি।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে