বেসরকারি গবেষণা সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) তৈরি পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির পরিবর্তে উল্টো ২৬ শতাংশ কমেছে বলে জানিয়েছে।
টিআইবির দাবি, নতুন কাঠামোতে শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি নিয়ে মালিকপক্ষ শ্রমিকদের শুভঙ্করের ফাঁকি দিয়েছে।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীতে নিজেদের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরে টিআইবি। ‘তৈরি পোশাক খাতে সুশাসন: অগ্রগতি ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, আইন অনুযায়ী প্রতিবছর পাঁচ শতাংশ হারে মজুরি বৃদ্ধির নিয়ম রয়েছে। তবে এ হিসেবে মজুরি বাড়েনি। বাস্তবিক অর্থে সার্বিকভাবে ২৬ শতাংশ মজুরি কমানো হয়েছে। সর্বশেষ ২০১৩ সালের ১ ডিসেম্বর ৫ হাজার ৩০০ টাকা ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করে দেওয়ার পর সেই হারে বেতন পাচ্ছিলেন শ্রমিকরা।
তবে শ্রমিকদের দাবির মুখে গেল বছরের ২৬ নভেম্বর তৈরি পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি আট হাজার টাকা নির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশ করে সরকার।
এতে প্রায় ৪০ লাখ শ্রমিকের মজুরি আগের চেয়ে ৫১ শতাংশ বৃদ্ধির কথা বলা হয়। নতুন কাঠামোতে পোশাক শ্রমিকদের জন্য সাতটি ও কর্মচারীদের জন্য চারটি গ্রেড নির্ধারণ করা হয়।
এদিকে এক পরিসংখ্যান তুলে ধরে টিআইবি বলছে, ২০১৩ সালের ঘোষিত মজুরি অনুযায়ী প্রথম গ্রেডে ছিল ৮ হাজার ৫০০ টাকা। চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি ঘোষিত প্রথম গ্রেডে নতুন মজুরি করা হয়েছে ১০ হাজার ৯৩৮ টাকা।
কিন্তু ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্টসহ ২৫ ডিসেম্বর ২০১৮ সালে মজুরি হওয়ার কথা ছিল ১৩ হাজার ৩৪৩ টাকা। সেই হিসেবে মজুরি ২ হাজার ৪০৫ টাকা বা ২৮ শতাংশ কমেছে।
আর এভাবে নতুন বেতন কাঠামোতে মজুরি সার্বিকভাবে ২৬ শতাংশ কমেছে বলে দাবি বেসরকারি গবেষণা সংস্থাটির।