বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থাকা বাংলাদেশি নাগরিকদের সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব। তাই যেসব দেশে আমাদের প্রবাসী আছে, সেসব দেশে তাদের প্রয়োজনীয় সেবা দিতে পর্যায়ক্রমে নিজস্ব ভবন বা চ্যান্সারি কমপ্লেক্স করা হবে। কেননা, প্রবাসীরা তাদের কষ্টার্জিত অর্থ বাংলাদেশে পাঠান এবং দেশের অর্থনীতিতে তাদের অবদান সবচেয়ে বেশি বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
একইসঙ্গে যেসব দেশে প্রবাসীরা থাকেন, সেসব দেশের অবকাঠামো নির্মাণ এবং অর্থনীতিতেও তারা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। যে কারণে প্রবাসীদের কল্যাণে প্রত্যেক দেশেই বাংলাদেশের নিজস্ব ভবন বা চ্যান্সারি কমপ্লেক্স করার কথা জানান তিনি।
মঙ্গলবার ব্রুনেই দারুস সালামের বন্দর সেরি বেগাওয়ানে বাংলাদেশ দূতাবাসের নতুন চ্যান্সারি ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রবাসীদের সুখ-দুঃখ দেখা সরকারের দায়িত্ব। এসময় তাদের সেবার দিক দেখভাল করতে, যেসব দেশে প্রবাসীরা থাকেন, সেসব দেশে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীদের যাওয়ার পরামর্শ দেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের উদ্যোগে সৌদি আরবসহ কয়েকটি দেশে ইতোমধ্যেই নতুন নিজস্ব কমপ্লেক্স চালু হয়েছে। এছাড়া ইতালিসহ আরও কয়েকটি দেশে অচিরেই নতুন চ্যান্সারি কমপ্লেক্স উদ্বোধন করা হবে। এইকসঙ্গে প্রবাসীদের ছেলেমেয়ের লেখাপড়ার জন্য স্কুলসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, নতুন চ্যান্সারি ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও ইতিহাস তুলে ধরতে হবে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট দেশের পরিবেশ ও জলবায়ুকে বিবেচনায় নিতে হবে। এসময় নতুন চ্যান্সারি ভবনটির নকশা দেখে দেখে উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে স্থপতি রোজাইন মেরী ইয়ান্তিকে ধন্যবাদ জানান শেখ হাসিনা।
অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে মোমেন এবং ব্রুনেইয়ে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত অবসরপ্রাপ্ত এয়ার ভাইস মার্শাল মাহমুদ হোসাইনও বক্তব্য রাখেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী দেশটির রাজধানীর কূটনৈতিক জোনে নতুন নির্মিতব্য কমপ্লেক্সের ভিত্তিফলক উন্মোচন করেন।
কমপ্লেক্স নির্মাণ কাজ শুরুর ১৮ মাসের মধ্যেই এটি শেষ হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।
নতুন চ্যান্সারি কমপ্লেক্স নির্মিত হলে সেখান থেকে ব্রুনাইয়ে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের কনস্যুলেট সেবা দেয়ার সক্ষমতা বহুগুণ বেড়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।