র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালসের ক্যান্সারের ওষুধ নকল করে তা বিক্রি ও বাজারজাত করার অভিযোগে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৩ এর সহযোগিতায় রাজধানীর পশ্চিম নাখালপাড়া শাহিনবাগ এলাকার একটি আবাসিক ভবন থেকে সোমবার রাতে এসব ওষুধসহ তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে তাদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন অভিযান পরিচালনাকারী র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. গাউসুল আজম।
দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে ড্রাগ আইনের ১৮ ও ২৭ ধারায় আনিছুর রহমানকে দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। আনিসুর ইনসেপ্টা ফার্মাসিটিক্যালসের বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত আছেন।
এছাড়া নকল ওষুধ ক্রয়, সংরক্ষণ, বাজারজাতকরণ ও বিক্রির দায়ে দেলোয়ার হোসেন নামে একজনকে দুই বছর এবং তার সহযোগী জুবায়েরকে এক বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়।
কারাদণ্ডের পাশাপাশি গ্রেপ্তার প্রত্যেককে পাঁচ লাখ টাকা করে জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
অভিযান পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. গাউসুল আজম গণমাধ্যমকে জানান, চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে নকল ওষুধ বিক্রি ও বাজারজাতকরণের সঙ্গে জড়িত। জব্দ করা প্রতিটি ওষুধের মূল্য ১৫ হাজার টাকা। প্রতি বোতল ১০ হাজার টাকা হারে ৬০ বোতল নকল ‘ওসিসেন্ট-৮০’ নামক ওষুধটি হাত বদলের সময় তাদের হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গাউসুল আজম জানান, তারা এই ওষুধটি বিদেশে রপ্তানি করে। তাইওয়ান ও হংকং-এ এর আগেও এ ওষুধ পাঠিয়েছে।
অভিযানে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও এর সঙ্গে জড়িত আরও একজন বড় হোতা রুদ্র র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে গেছে বলে তিনি জানান। তাকে ধরতে র্যাবের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এছাড়া ইনসেপ্টার অন্য কেউ নকল ওষুধ উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন গাউসুল আজম।
তিনি বলেন, নকল ওষুধের তিনটি নমুনা ওষুধ প্রশাসন পরিদপ্তরকে এবং একটি নমুনা ইনসেপটা ফার্মাসিউটিক্যালকে পরীক্ষার জন্য দেয়া হয়েছে। নকল ওষুধ প্রস্তুত করতে কী কী ধরনের কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়েছে তা পরীক্ষায় বের হয়ে আসবে।
অভিযানে র্যাব-৩ এর মেজর মারুফ, র্যাব ফোর্স এবং ড্রাগ সুপার মাহমুদ অংশ নেন।