চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক মহিউদ্দিন সোহেলকে পিটিয়ে হত্যা মামলার আসামি মো. জাবেদ (২২) ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছে। সোমাবার রাতে ডবলমুরিং থানার আগ্রাবাদ জাম্বুরি মাঠে এ ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানায়। নিহত মো. জাবেদ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সরাইপাড়া ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাবের আহম্মেদের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। সাবেরও মহিউদ্দিন সোহেল হত্যা মামলার আসামি।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (ডবলমুরিং জোন) আশিকুর রহমান বলেন, একদল ডাকাত জাম্বুরি মাঠে জড়ো হয়েছে খবর পেয়ে ডবলমুরিং থানা পুলিশের একটি দল সেখানে অভিযানে যায়। এ সময় ডাকাতদল পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি করে। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়।
গোলাগুলি থামলে সেখানে জাবেদকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। উদ্ধার করে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও বলেন, জাবেদ পাহাড়তলী এলাকার ছাত্রলীগ নেতা মহিউদ্দিন সোহেল হত্যা মামলার অন্যতম আসামি। ভিডিও ফুটেছে দেখা গেছে, সোহেলকে গণপিটুনির সময় জাবেদ ছুরি মেরেছিল। ঘটনাস্থল থেকে একটি চায়নিজ পিস্তল, দু’টি ম্যাগাজিন, দু’টি এলজি, ১৩ রাউন্ড গুলি ও ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। চায়নিজ পিস্তলটি সরকারি কোনো সংস্থার বলে মনে হচ্ছে।
গত ৭ জানুয়ারি সকালে নগরীর পাহাড়তলী রেলওয়ে এলাকায় মহিউদ্দিন সোহেলকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। তখন পুলিশ ও ব্যবসায়ীরা বলেছিলেন, বাজারের লোকজন চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। কিন্তু পরদিন সংবাদ সম্মেলন করে সোহেলের পরিবার দাবি করে, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
এরপর হত্যা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের অভিযোগে ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও দেড়শ জনকে আসামি করে মামলা করেন সোহেলের ভাই শাকিরুল ইসলাম শিশির।
মামলায় পাহাড়তলী রেলওয়ে বাজার ব্যবসায়ী সমিতির আহ্বায়ক ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাবের আহম্মেদ, জাতীয় পার্টির নেতা ওসমান খান ও যুবদল নেতা শওকত খান রাজুকেও আসামি করা হয়। ওসমান ও রাজুকে পুলিশ এরই মধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে।