রাজধানীর বনানী ক্লাব মাঠে শ্রীলঙ্কায় বোমা বিস্ফোরণে নিহত শিশু জায়ান চৌধুরীর জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। বুধবার বাদ আছর জায়ানের জানাজা সম্পন্ন হয়। এতে তার আত্মীয়-স্বজন ছাড়াও আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
জানাজার আগে শেখ সেলিম তার নাতি জায়ান এবং তার আহত বাবার জন্য সবার কাছে দোয়া চান। এসময় তিনি জায়ানের মৃত্যুতে শোকসন্তপ্ত পরিবারের পাশে থাকার জন্য সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
জানাজায় উপস্থিত ছিলেন দলের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু ও তোফায়েল আহমেদ, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়া, কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক, রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, তথ্যমন্ত্রী হাসান মাহমুদ, সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুল মতিন খসরু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান ও জাহাঙ্গীর কবির নানক, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন এবং ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম প্রমুখ।
এর আগে হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছার পর দেড়টার দিকে জায়ানের মরদেহ তার নানা শেখ সেলিমের বাসায় আনা হয়। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ এবং ক্ষমতাসীন দলের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ।
পরে দুপুর ২টা ৪০ মিনিটে সেখানে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জায়ানের মরদেহ দেখতে মন্ত্রী, এমপি, রাজনীতিক এবং আত্মীয়-স্বজনরাও ভিড় করেন। এ সময় সেখানে আবেগঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
শেখ সেলিমের বাসায় জায়ানকে শেষবারের জন্য দেখতে আসেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, সংসদ সদস্য পঙ্কজ দেবনাথ, দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজ্জামেল হক, জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম প্রমুখ।
গত রোববার শ্রীলঙ্কায় ভয়াবহ বোমা বিস্ফোরণে সেখানে সপরিবারে বেড়াতে যাওয়া শেখ সেলিমের মেয়ে জামাই মশিউল হক চৌধুরী গুরুতর আহত এবং তার নাতি জায়ান চৌধুরী নিহত হয়। আট বছর বয়সী জায়ান রাজধানীর সানবিম স্কুলের ছাত্র ছিল।