৫ দফা দাবিতে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের নীলক্ষেত মোড় অবরোধ

ক্যাম্পাস প্রতিনিধি

দ্বিতীয় দিনের মতো নীলক্ষেত অবরোধে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা
দ্বিতীয় দিনের মতো নীলক্ষেত অবরোধে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা

পাঁচ দফা দাবি আদায়ে দ্বিতীয় দিনের মতো রাজধানীর নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা।আজ বুধবার সকাল ১১টায় শিক্ষার্থীরা নীলক্ষেত মোড় আটকে বিক্ষোভ শুরু করেন।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ২টা পর্যন্ত অবস্থানের পর ফের অবস্থানের ঘোষণা দিয়ে তারা সরে গিয়েছিলেন। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিভুক্ত থেকেই চলমান সব সমস্যার সমাধান চান তারা।

অবস্থান কমসূচিতে অংশ নেওয়া মিরপুরের সরকারি বাংলা কলেজের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শাহেদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, “আমরা অধিভুক্তি বাতিল নয়, আমরা আমাদের চলমান সমস্যার সমাধান চাই। কারণ এখন অধিভুক্তি বাতিল করলে আমি মনে করি এই সমস্যা আরও বাড়বে।”

universel cardiac hospital

ইডেন মহিলা কলেজের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী জাকিয়া চৌধুরী বলেন, “আমাদের মনে হয়েছে অধিভুক্ত হওয়ার পর ওরা আমাদের মেধাকে সঠিকভাবে মূল্যায়ন করেনি বা করা হচ্ছে না। কিন্তু আমরা অধিভুক্ত বাতিল চাই না, যেহেতু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আমাদের সাতটি কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করে দেওয়া হবে।

“ওনার মতামতের ওপর কথা আমরা অবশ্যই বলব না। আমরা অধিভুক্তই থাকতে চাচ্ছি কিন্তু আমরা চাই আমাদের মেধাকে সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা হোক।”

দ্বিতীয় দিনের মতো নীলক্ষেত অবরোধে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা
দ্বিতীয় দিনের মতো নীলক্ষেত অবরোধে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা

তিনি বলেন, “আমরা চাই আমাদের জন্য একটা আলাদা প্রশাসনিক ভবন করা হোক যেখানে আমরা আমাদের সমস্যাগুলো নিয়ে সহজে কাজ করতে পারি।”

দাবিগুলো হচ্ছে-


১. একসঙ্গে পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে ত্রুটিমুক্ত ফলাফল প্রকাশসহ একই বর্ষের সব বিভাগের ফলাফল একত্রে প্রকাশ
২. গণহারে অকৃতকার্য হওয়ার কারণ প্রকাশসহ খাতা পুনঃমূল্যায়ন
৩. সাত কলেজ পরিচালনার জন্য স্বতন্ত্র প্রশাসনিক ভবন
৪. প্রতিটি বিভাগে মাসে দু’দিন করে অধিভুক্ত সাত কলেজে মোট ১৪ দিন ঢাবি শিক্ষকদের ক্লাস নেয়া
৫. সেশনজট নিরসনে একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশসহ ক্রাশ প্রোগ্রাম চালু।

ঢাকা কলেজের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সজীবুর রহমান বলেন,“আমরা অধিভুক্ত বাতিল চাই না। কিন্তু এই অধিভুক্তির ফলে প্রতিবছর যে সেশনজটের মধ্যে আমরা পড়ছি, এই সমস্যা সামনে যাতে না হয় এজন্য আমরা প্রশাসনের সহায়তা চাচ্ছি। আমরা যে সেশনজটের শিকার হয়েছি শুধু অধিভুক্ত বাতিল করলেই তো এখন আর সেই সময়গুলো আমরা ফিরে পাব না।”

তিনি জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্বাস না পাওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে। 

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে