বাংলাদেশে নিযুক্ত আমেরিকান রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার বলেছেন, আমি প্রেসিডেন্টের সন্তানের চেয়ে কৃষকের ছেলের পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমার বাবা-মা কৃষক। আমি কৃষক পরিবারের সন্তান।
বুধবার নেত্রকোনার গৌরীপুরের শ্যামগঞ্জে বাংলাদেশে নিযুক্ত আমেরিকান রাষ্ট্রদূত এ কথা বলেন।
সকাল ১০টায় গৌরীপুর শ্যামগঞ্জ এলাকায় কঠোর নিরাপত্তাবেষ্টনীতে তিনি পৌঁছান। এর পর তাকে স্বাগত জানান ভাই ভাই ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের মালিক আবদুর রাজ্জাক।
নেত্রকোনা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. শাহজাহান মিয়া, পূর্বধলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নমিতা দে ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ করেন তাকে।
রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার পূর্বধলা উপজেলার শ্যামগঞ্জ বাজারের ভাই ভাই ইঞ্জিনিয়ার ওয়ার্কশপে তৈরি বিএইউ-এসটিআর ড্রায়ার (ধান শুকানো) যন্ত্র কারখানা প্রস্তুতকৃত মেশিন ও তার কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত এ যন্ত্র আবিষ্কারের জন্য ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি এ সময় ধান শুকানো যন্ত্রের ব্যবহার, ধান মাড়াই যন্ত্রের ব্যবহার পরিদর্শন করেন।
এ সময় আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিশক্তি ও যন্ত্র বিভাগের প্রফেসর ড. মো. মঞ্জুরুল আলম, প্রফেসর ড. চয়ন কুমার সাহা, সুরজিৎ সরকার, নেত্রকোনা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. শাহজাহান মিয়া, পূর্বধলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নমিতা দে, পূর্বধলা থানার অফিসার ইনচার্জ তাওহিদুর রহমান, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান, গোয়ালাকান্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাঈদ আল মামুন শহীদ ফকির, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মতিউর রহমান, আবদুল কুদ্দুস তালুকদার, মিলমালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা, সাংবাদিক তিলক রায়, মো. রইছ উদ্দিন, শ্যামগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক গোবিন্দ বণিক প্রমুখ।
স্বল্প খরচে ক্ষুদ্র কৃষকের ধান শুকানো যন্ত্রণার অবসান করল এ ড্রায়ার মেশিন। যার পুরো নাম বিএইউ-এসটিআর ড্রায়ার (ধান শুকানো যন্ত্র)। এ যন্ত্র আবিষ্কার করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিশক্তি ও যন্ত্র বিভাগের প্রফেসর ড. মো. মঞ্জুরুল আলম। তার দেখানো মতেই এ যন্ত্র প্রস্তুত করছেন পূর্বধলা উপজেলার শ্যামগঞ্জ ভাই ভাই ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মালিক আবদুর রাজ্জাক।