ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের দেয়া পাঁচ দফা দাবি বিবেচনা করার আশ্বাস দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আজ বুধবার বেলা দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানী নীলক্ষেত মোড়ে চলা শিক্ষার্থীদের আন্দোলনস্থলে এসে এ আশ্বাস দেন। শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো লিখিত আকারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে জমা দেয়ার আহ্বানও জানান তিনি।
প্রক্টর বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো নিয়ে আমরা ভিসি স্যারের সঙ্গে আলোচনা করেছি। আগামী ২৮ তারিখ তোমাদের দাবি নিয়ে সিন্ডিকেট সভায় আলোচনা করা হবে। সেখানে সাত কলেজের প্রতিনিধিও রাখা হবে।
এ ছাড়া তিনি সাত কলেজ সম্পর্কে ইতিমধ্যে যেসব পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, তা লিখিত বক্তব্য আকারে পেশ করেন।
লিখিত বক্তব্যে প্রক্টর বলেন, পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে সব বিষয়ের ফল প্রকাশ করার ব্যাপারে ইতিমধ্যে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। যেসব বিষয়ে অধিক হারে অকৃতকার্য হয়েছে, সেসব বিষয়ে আবেদনক্রমে পুনর্মূল্যায়নের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সাত কলেজের একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ইতোমধ্যে প্রশাসনিক ভবনে স্বতন্ত্র সেল গঠন করা হয়েছে। ভবিষ্যতে সাত কলেজের জন্য স্বতন্ত্র নতুন ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। অধিভুক্ত সাত কলেজের সেশনজট নিরসনের জন্য ক্রাশ প্রোগ্রাম বিষয়ে কলেজ অধ্যক্ষদের সঙ্গে আলোচনাক্রমে ব্যবস্থা নেয়া হবে। একাডেমিক ক্যালেন্ডার তৈরি প্রক্রিয়াধীন। ২০১৬ সালের অনার্স চতুর্থ বর্ষ পরীক্ষার ফল ইতিমধ্যে প্রকাশ করা হয়েছে। ডিগ্রি প্রথম বর্ষ ২০১৭ পরীক্ষার রুটিন প্রকাশিত হয়েছে। এ ছাড়া মাস্টার্স ২০১৬ অনলাইনে ফরম পূরণ ও অনার্স দ্বিতীয় বর্ষ পরীক্ষা শুরুর তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া আগামী ২৮ এপ্রিল উপাচার্যের সভাপতিত্বে সাত কলেজের অধ্যক্ষদের সঙ্গে বিভিন্ন সমস্যা সমাধানকল্পে করণীয় বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে বলেও জানান তিনি।
বিকেলে দাবিগুলো নিয়ে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের একটি দলের বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে।
এর আগে অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা দ্বিতীয় দিনের মতো বেলা ১১টার দিকে নীলক্ষেত মোড়ে অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করেন। এ সময় সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে।
শিক্ষার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ২০১৭ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি তিতুমীর কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, সরকারি বাঙলা কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ ও সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা আড়াই লাখ।