সাভারের বহুল আলোচিত রানা প্লাজা ধসে পড়লে ১১৩৮ শ্রমিক নিহত হন।
২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সকালে সাভারে আটতলা ভবন ‘রানা প্লাজা’ ভেঙে পড়ে ১১শর বেশি পোশাক শ্রমিকের মৃত্যু ঘটে। ওই ঘটনা শুধু বাংলাদেশের নয়, বিশ্ব ইতিহাসেরই অন্যতম ভয়াবহ শিল্প-দুর্ঘটনা।
সেই রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানা বর্তমানে কাশিমপুর-২ কারাগারে আছেন। দীর্ঘদিন কারাগারে থাকায় সেখানে অনেক বন্ধু জুটেছে তার। তবে পরিবারের সদস্যরা আগের মতো তার সঙ্গে দেখা করতে আসে না।
সোহেল রানা গণমাধ্যমকে জানান, অনেক দিন কারাগারে থাকার কারণে এখানকার নিয়মকানুনে অভ্যস্ত হয়ে গেছেন তিনি।
সোহেল রানা এখানে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন। রানা প্লাজা ধসে এত মানুষের মৃত্যুতে এখন অনুতপ্ত সোহেল রানা। প্রায়ই কারারক্ষীদের কাছে তিনি তার অনুতাপের কথা বলেন বলে জানিয়েছেন জেলার।
জেলার জানান, আগে সোহেল রানার মা তার সঙ্গে দেখা করতে আসতেন। কিন্তু তিনি অসুস্থ হয়ে পড়ায় এখন তেমন কেউ তাকে দেখতে আসেন না।
এদিকে আজ বুধবার রানা প্লাজা ধসের ৬ বছর পূর্তিতে অস্থায়ী শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন। পাশাপাশি নিহত ও নিখোঁজ পরিবারের সদস্যরাও শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
এ সময় শ্রমিকরা অবিলম্বে রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় অভিযুক্তদের বিচার ও হতাহত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ, পুনর্বাসন, তাদের সন্তানদের শিক্ষার ব্যবস্থাসহ নানা দাবি করেন।
প্রসঙ্গত, সাভারের বহুল আলোচিত রানা প্লাজা ধসে পড়লে ১১৩৮ শ্রমিক নিহত হন।
এর পর সোহেল রানা ওরফে রানাসহ তার পরিবারের বিভিন্ন ব্যক্তির বিরুদ্ধে দুদক ও রাজউক সাভার এবং ধামরাই থানায় ৭টি মামলা করে। ঘটনার পর থেকে রানা কোনো মামলায় জামিন না পাওয়ায় জেলহাজতেই আছেন।
ভবনধসের ঘটনায় আহত ও নিহতদের ক্ষতিপূরণ দিতে ২০১৪ সালের ১৩ মার্চ আদালতের নির্দেশে রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানার ব্যক্তিগত সব সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে সরকার।
মামলাগুলোর তেমন কোনো অগ্রগতি নেই
তবে ৬ বছর পার হয়ে গেলেও এ ঘটনায় হতাহত শ্রমিক ও তার স্বজনরা সুবিচার পাননি। বিচার হয়নি অভিযুক্তদের। মামলাগুলোর তেমন কোনো অগ্রগতি নেই।