তামিম ইকবালের সঙ্গে ওপেন করবেন কে—সৌম্য সরকার না লিটন দাস? উত্তরটা সরাসরি দেননি কোচ স্টিভ রোডস। তবে মিরপুরে আজ সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ কোচ ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে যা বললেন তাতে বোঝা গেল বাঁহাতি-ডানহাতি সমন্বয় পছন্দ তাঁর।
সৌম্য-লিটনকে নিয়ে কাল বড় আশার কথা বলেছেন তামিম ইকবাল। দেশসেরা ওপেনার বলেছেন, ‘ওরা কত ভালো সেটা বিশ্বকে দেখিয়ে দেওয়ার এটাই সময়।’ দুই তরুণ ওপেনারের ওপর টিম ম্যানেজমেন্টেরও একই আস্থা।
কিন্তু দুজনের একজনকে পাঠাতে হবে তামিমের সঙ্গে ওপেন করাতে। এখানে বেছে নেওয়া হবে কাকে? রোডসের নিজের ভাবনা হচ্ছে, ‘লিটন-তামিমকে দিয়ে ডানহাতি-বাঁহাতি সমন্বয় পেয়েছি আমরা। ব্যক্তিগতভাবে আমি বাঁহাতি-ডানহাতি সমন্বয় পছন্দ করি। তবে সৌম্য ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের শেষ দুটি ম্যাচে যে ব্যাটিং করল, সেটিও ভালো লেগেছে। মজার ব্যাপার, রূপগঞ্জের বিপক্ষে সেঞ্চুরির পর বলেছি, ডাবল সেঞ্চুরি করার খুব বেশি সুযোগ তুমি পাবে না। যদি পাও সুযোগটা হাতছাড়া করো না। ওই ম্যাচে সে অনেক সময় পেয়েছিল। কী আশ্চর্য, সে ঠিক পরের ম্যাচেই ডাবল সেঞ্চুরি করল।’
কোচ নিজের ভাবনা বলেছেন বলেই বাংলাদেশ তামিম-লিটনকে দিয়ে বিশ্বকাপে ওপেন করাবে, সেটি এখনই নিশ্চিত করে বলা যাবে না। বিশ্বকাপে আমাদের উদ্বোধনী জুটি কেমন হবে, সেটি ফাঁস করতে চাই না। শুধু বলতে পারি, সৌম্য-লিটন দুজনের ওপরই আস্থা আছে।
সৌম্য-লিটনের ওপর আস্থা যেমন আছে, রোডসের অগাধ আস্থা তামিমের ওপরও। ২০১৫ বিশ্বকাপে বড় ঝড়ই গিয়েছিল দেশের এ অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানের ওপর। ব্যাট কথা বলছিল না বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি নিয়মিত ‘ট্রলে’র শিকার হয়েছেন। এমনকি ফোনেও কত আজেবাজে কথা শুনতে হয়েছে। রেহায় পায়নি তামিমের পরিবারও। বিশ্বকাপ-ব্যর্থতার পরই যেন নতুন দিনের সন্ধান পেয়েছেন দেশসেরা ওপেনার।
গত চার বছরে তিনি আশ্চর্য ধারাবাহিক, এখন তামিমের ‘হেটারে’র চেয়ে অনুসারীই বেশি। রোডস তাই বলছেন, ‘তামিম বড় উদাহরণ। সে জানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সফল হতে তার কী করা প্রয়োজন। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ না খেলে সে ৩-৪ সপ্তাহের বিরতি নিয়েছে। সে জানে কতটা গুরুত্বপূর্ণ এই টুর্নামেন্ট। সে জানে সজীব থাকাটা কত জরুরি। কিছু অনুশীলন করেছে। ব্যাটিং-বোলিং ঝালিয়ে নিয়েছে। আমি সব সময়ই তামিমের মতামত শুনতে আগ্রহী। তার প্রতি আমার শ্রদ্ধা আছে।’