বৃহস্পতিবার মধ্যরাত (জিরো আওয়ার) থেকে বন্ধ হচ্ছে ২০ লাখ ৫০ হাজার মোবাইল সিম। নির্ধারিত সংখ্যকের বেশি যেসব মোবাইল সিম ব্যক্তির নামে নিবন্ধন হয়েছে সেগুলো বন্ধ করে দিতে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি দেশের সব মোবাইল অপারেটরকে এ নির্দেশনা দিয়েছে।
বিটিআরসির নির্দেশনা ছিল, একই জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) ১৫টির বেশি নিবন্ধিত সিম রাখা যাবে না। কিন্তু বিটিআরসি দেখেছে একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে নিবন্ধন হওয়ার সিমের সংখ্যা ২০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। এজন্য অতিরিক্ত সিম কমিয়ে ফেলতে বিটিআরসি তৈরি করেছে ‘সেন্ট্রাল বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন মনিটরিং প্ল্যাটফর্ম’।
এ ব্যাপারে বিটিআরসির চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হক বলেন, নিরাপদে মোবাইল সিম ব্যবহারে এ প্রচেষ্টা আরও গ্রাহকবান্ধব হবে এবং এ খাত অধিকতর সুশৃঙ্খল হবে। আশা করছি, এর ফলে জনসাধারণ নির্বিঘ্নে উন্নত টেলিযোগাযোগ সেবা গ্রহণ করতে পারবে।
বিটিআরসি সূত্রে জানা যায়, আজ রাতের (রাত ১২টা) জিরো আওয়ার থেকে সিমগুলো বন্ধের প্রক্রিয়া শুরু হবে। সব সিম বন্ধ হতে ৭-৮ ঘণ্টা সময় লেগে যেতে পারে।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ১২ জুন সরকার একজন গ্রাহকের বিপরীতে ২০টি সিম নির্ধারণ করে দেয়। পরে এই সংখ্যা কমিয়ে ৫টি করা হলেও সেই সিদ্ধান্তও পরিবর্তন হয়। সর্বশেষ ২০১৭ সালে একটি জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে ১৫টি সিম নিবন্ধনের জন্য নির্ধারণ করা হয়।
জানা গেছে, ২০ লাখ ৪৯ হাজার ৯২৭টি সিমের মধ্যে গ্রামীণফোনের সিম সংখ্যা চার লাখ ৬১ হাজার, বাংলালিংকের চার লাখ ৫৫ হাজার, রবির চার লাখ ১৯ হাজার, টেলিটকের চার লাখ ৮৭ হাজার ৪৯২ ও এয়ারটেলের রয়েছে দুই লাখ ২৫ হাজার সিম।
বিটিআরসির তথ্যমতে, অন্তত এক লাখ জাতীয় পরিচয়পত্রের ক্ষেত্রে সরকার নির্ধারিত নির্দেশনা মানা হয়নি। এই সংখ্যক জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে ১৫টির বেশি সিম নিবন্ধন করা হয়েছে।
এদিকে মোবাইলফোন অপারেটরগুলোর সংগঠন অ্যামটব সিম বন্ধ করতে সরকারের কাছে আরও সময় চেয়ে আবেদন করেছে।