আজ শুক্রবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ায় বাংলাদেশের ভূয়সী প্রসংশা করেন ব্রুনাইয়ের সুলতান। রোহিঙ্গা সমস্যার ন্যায়সঙ্গত সমাধানে গুরুত্বারোপ করেন তিনি। রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে আশিয়ান, আঞ্চলিক ও বিশ্ব নেতাদের সহযোগিতা কামনা করি।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছি। মিয়ানমারের সঙ্গে আমাদের একটা চুক্তিও হয়েছে। যে মুহূর্তে রোহিঙ্গা যাওয়ার কথা সেই মুহূর্তে তারা প্রতিবাদ শুরু করল যে তারা যাবে না।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা ফেরত গেলে চীন, ভারত ও জাপান তাদের জন্য ঘরবাড়ি করে দিতেও তারা রাজি। প্রত্যেক দেশেই কিন্তু তাদের কিছু কিছু রিফিউজি আছে। এদের সঙ্গে আমি আলোচনা করেছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আন্তর্জাতিক তিনটি সংস্থাকে বলেছি আপনারা রোহিঙ্গাদের জন্য কিছু করতে চাইলে মিয়ানমারের মাটিতে করেন। এখানে মিয়ানমারের সরকারেরও একটা প্রচণ্ড অনীহা দেখা দিচ্ছে। এ ধরনের সমস্যা কিন্তু কিছু লোক রিফিউজিদের লালন-পালন করার জন্য যতটা আগ্রহ দেখায় ফেরত পাঠানোর জন্য কিন্তু ততটা আগ্রহ দেখায় না।’
তিনি বলেন, ‘আমি স্পষ্ট ওই তিন সংস্থার প্রতিনিধিদের বলে দিয়েছি, সামনে আমাদের বর্ষাকাল যদি দুর্ঘটনা বা প্রাকৃতিক দুর্যোগে এদের ক্ষতি হয় তাহলে দায় কে নেবে? ওই সংস্থাগুলোরও তো নেয়ার দরকার? আমি এ কথাটা জাতিসংঘকেও জানিয়েছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ব্রুনাইয়ের পক্ষে সুলতান আমার প্রস্তাবের পক্ষে সম্মতি জানান এবং একসঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। সেই সঙ্গে দু’দেশের মধ্যে ব্যবসা বাড়াতে ব্যবসায়ীদের মধ্যে যোগাযোগ বাড়ানোর বিষয়ে সম্মত হন।’
তিনি আরও বলেন, ‘দু’দেশের মধ্যে আর্থিক খাতে উন্নয়ন ও সামরিক খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য আমরা একমত হই। দু’দেশের জনগণের মধ্যে নিবিড় যোগাযোগের বিষয়ে আমরা একমত হই। বিগত এক দশক ব্রুনাইয়ের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক দিন দিন বৃদ্ধি পেয়েছে। ব্রুনাইয়ের সুলতান বাংলাদেশের উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের প্লেনটা যখন আকাশে উড়েছিল তখনই শ্রীলঙ্কায় হামলার খবর আসে। পরে ওখানে নেমে বিস্তারিত খবর পাই। এরপরই জায়ানের খবরটা পাই। আমি এ ঘটনার নিন্দা জানাই। সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জনমত গঠনের আহ্বান জানাই।’
এ সময় গত ২১ এপ্রিল শ্রীলঙ্কায় বোমা হামলায় নিহতদের স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। নিহতদের আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করেন এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন শেখ হাসিনা।