প্রধান বিচারপতি এক মাসের মধ্যে বিচারপতিদের নিয়ে বসবেন

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। ফাইল ছবি

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন দেশের সব আদালতে মামলার আধিক্যের জন্য জনসংখ্যা বৃদ্ধি প্রাথমিকভাবে দায়ী বলে মনে করেন। তাই মামলাজট নিরসন বিষয়ে আগামী এক মাসের মধ্যে তিনি বিচারপতিদের নিয়ে বসবেন বলে জানিয়েছেন ।

তিনি বলেন, বিচারাধীন মামলার তুলনায় বিচারক সংখ্যা অপ্রতুল। তাই দিন দিন মামলাজট দ্রুত বাড়ছে।

আজ শনিবার সুপ্রিমকোর্ট মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি কথা বলেন।

সুপ্রিম কোর্টের জুডিশিয়াল রিফর্ম কমিটি ও জার্মান ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন (জিআইজেড) যৌথভাবে ‘ন্যাশনাল জাস্টিস অডিটের ফলাফল উপস্থাপন’বিষয়ক ওই আলোচনা সভার আয়োজন করে।

জুডিশিয়াল রিফর্ম কমিটির সভাপতি ও আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলীর সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় অডিটের ফলাফল উপস্থাপনা করেন আন্তর্জাতিক পরামর্শক এরিক ক্যাডোরা। অন্যদের মধ্যে জিআইজেড বাংলাদেশের হেড অব প্রোগ্রাম (রুল অব ল) প্রমিতা সেনগুপ্ত ও জুডিথ হারবার্টসন বক্তব্য দেন।

লিখিত বক্তব্যে প্রধান বিচারপতি বলেন, দেশে ১০ লাখ মানুষের বিপরীতে ১০ জন বিচারক; যেখানে যুক্তরাষ্ট্রে ১০৭, কানাডায় ৭৫, ইংল্যান্ডে ৫১, অস্ট্রেলিয়ায় ৪১ ও ভারতে ১৮ জন। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ার মতো উন্নত দেশে ৮৫ থেকে ৯০ শতাংশ মামলা বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি পদ্ধতির মাধ্যমে নিষ্পত্তি হয়, কেবল ১০ থেকে ১৫ শতাংশ মামলা বিচারের জন্য যায়।

অন্যদিকে, বাংলাদেশে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ মামলা বিচার পূর্ব সময়ে নিষ্পত্তি হয় এবং ৮৫ থেকে ৯০ শতাংশ মামলা বিচারের জন্য যায়, যা বড় ধরনের মামলাজট তৈরি করে। মামলা নিষ্পত্তি বাড়াতে মামলা ব্যবস্থাপনা ও আদালত প্রশাসনের ভূমিকা অপরিহার্য।

প্রধান বিচারপতি বলেন, মূলত বিচারাধীন বন্দিতে দেশের কারাগারগুলো অতিমাত্রায় পূর্ণ ও সেখানে সংখ্যাতিরিক্ত বন্দি। ব্যবহার ও কর্মপরিকল্পনাগত কারা-সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে জিআইজেডের আর্থিক সহায়তায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং কারা অধিদফতর একসঙ্গে কাজ করছে।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে