প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবারো সবাই মিলে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ প্রতিহত করতে আহ্বান জানিয়েছেন । এ ব্যাপারে সবাইকে সচেতন হওয়ার তাগিদ দিয়েছেন তিনি।
আজ শনিবার বিকালে বঙ্গবন্ধু আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী এই আহ্বান জানান।
সম্প্রতি নিউজিল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কায় সন্ত্রাসী হামলার পর বাংলাদেশও এ ধরনের হামলা হতে পারে বলে একটি গুঞ্জন ছড়ায়। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দেশে সন্ত্রাসী হামলা চালানোর মতো অবস্থা জঙ্গিদের নেই।
তবে সরকারের পক্ষ থেকে সবধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে নিশ্চিত করেন প্রধানমন্ত্রী।
শনিবার বাংলাদেশ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গে হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট-আইএস। সামাজিক যোগাযোগের অ্যাপস টেলিগ্রামের একটি চ্যানেলে বাংলায় লেখা ‘শীঘ্রই আসছি’ শিরোনামে একটি পোস্টারে হামলার এই হুমকি দেয় আইএস। এই হুমকির পর প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে নতুন করে আহ্বান জানান।
‘আমাদের পুরো পরিবারই খেলাধুলায় সম্পৃক্ত’
খেলাধুলা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, খেলাধুলায় হারজিত থাকবেই। এতে মন খারাপ করার কিছু নেই। আজ হারলে কাল জিতব— এই কথা মনে রাখতে হবে। জাতির পিতা নিজেকে সেভাবেই গড়ে তুলেছিলেন, সবক্ষেত্রেই হার না মানা একটি মনোভাব ছিল তার। যে কারণে মহান মুক্তিযুদ্ধে আমরা বিজয় অর্জন করেছিলাম।
শেখ হাসিনা বলেন, আপনারা জানেন, আমার দাদা ফুটবল খেলতেন। বাবাও ফুটবল খেলতেন। আমার দুই ভাই, শেখ কামাল ও শেখ জামাল— তারা দুজনেই খেলাধুলা পছন্দ করত। কামালের স্ত্রী সুলতানা, সে খেলোয়াড় হিসেবেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ব্লু’ছিল। জামালের স্ত্রী, সেও খেলাধুলায় ছিল। আমাদের পুরো পরিবারই খেলাধুলায় সম্পৃক্ত ছিলাম।
খেলাধুলার উন্নয়নে তার সরকারের বিভিন্ন অবদানের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর অন্যান্য খাতের মতো খেলাধুলাতেও নজর দিই। তবে ওই মেয়াদে অনেক কাজ আমরা শুরু করেও শেষ করতে পারিনি। ২০০৮ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠনের পর আমরা আবার সেগুলো শেষ করেছি।
এসময় আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় প্রতিযোগিতার চ্যাম্পিয়ন ও রানার-আপ বিশ্ববিদ্যালয়কে অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া বাকি দলগুলোকেও তিনি ধন্যবাদ জানান।