পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বহুল আলোচিত তিস্তা চুক্তি সই হওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র বলে মনে করেন।
তিনি বলেন, এই চুক্তি সম্পাদনে ভারত ও বাংলাদেশ অভিন্ন অবস্থানে রয়েছে। তিস্তার পানিবন্টন চুক্তি নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।
আজ শনিবার ফরেন সার্ভিস একাডেমি সুগন্ধায় ‘ওয়াটার ডিপ্লোম্যাসি’নিয়ে ৮ দিনব্যাপী সার্টিফিকেট কোর্সের উদ্বোধনকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমুদ্রসীমা বিরোধ নিস্পত্তি আওয়ামী লীগ সরকারের বড় সাফল্য। পাশাপাশি ভারতের সঙ্গে সই হওয়া গঙ্গার পানিচুক্তিও সাফল্য।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বিরোধ নিস্পত্তির পরও সমুদ্রে তেল গ্যাস অনুসন্ধান শুরু করা যায়নি নানা কারণে। শিগগিরই তা শুরু হবে।
এসময় মন্ত্রী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া তেল গ্যাস অনুসন্ধান কাজে আগ্রহ দেখিয়েছে বলেও জানান।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দুই দেশে বর্তমান সরকারের মেয়াদেই চুক্তি করার আশ্বাস দেন। কিন্ত গত ৩০ ডিসেম্বর বাংলাদেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পেয়ে টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ।
আগের মেয়াদে না হলেও ক্ষমতাসীনরা চাচ্ছে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাস অনুযায়ী তাদের নির্বাচনের আগেই তিস্তা চুক্তি সম্পূর্ণ হবে। এই উদ্দেশ্যে ঢাকা জোর চেষ্টাও চালিয়ে যাচ্ছে।
ভারতের পক্ষ থেকে তিস্তা নিয়ে বারবার আশ্বাস আসলেও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের অনঢ় অবস্থানের কারণে হচ্ছে না তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি। তিস্তা নিয়ে ভারত সরকার আশ্বাস দিলেও তারাও এটাও বলছেন যে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সম্মতি ছাড়া এই চুক্তি হচ্ছে না।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত এই সার্টিফিকেট কোর্সে বিভিন্ন দপ্তরের ২৩ জন কর্মকর্তা অংশ নিচ্ছেন। অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক ছাড়াও একাডেমির অধ্যক্ষও বক্তব্য রাখেন।