ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে এক যুবকের লাশের ময়নাতদন্তের সময় পেটে ১১ প্যাকেট ইয়াবা পাওয়া গেছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় যুবকটির লাশ মতিঝিল থানার পুলিশ হাসপাতালে পাঠায়।
পুলিশ জানিয়েছে, মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম জুলহাস। আনুমানিক বয়স ৩৫ বছর। বাড়ি নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার ভবানীপুর গ্রামে। বাবার নাম আক্কাস আলী।
ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সোহেল মাহমুদ শুক্রবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে জানান, ময়নাতদন্তের সময় এক যুবকের মরদেহের পেটে ইয়াবার ১১টি প্যাকেট পাওয়া গেছে। একেকটি প্যাকেটে ২০ থেকে ২৫টি করে ইয়াবা ছিল। তিনি জানান, বিষয়টি মতিঝিল থানাকে জানানো হয়েছে।
মতিঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক বলেন, ঘটনাটি হাসপাতাল থেকে তাদের জানানো হয়েছে।
তিনি জানান, গতকাল ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে মতিঝিলের বিশ্বাস টাওয়ারের সামনে এক ব্যক্তি অসুস্থ অবস্থায় পড়ে রয়েছেন—এমন খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে যায়। পুলিশ গিয়ে দেখে, অসুস্থ ব্যক্তির মাথায় লোকজন পানি ঢালছে। সেখান থেকে অসুস্থ ব্যক্তিকে উদ্ধার করে মুগদা জেনারেল হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। কয়েক ঘণ্টা পর বেলা ১১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই যুবকের মৃত্যু হয়। ময়নাতদন্তের জন্য তার লাশ গতকাল সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ওসি বলেন, তারা সন্দেহ করছেন, জুলহাস মাদক ব্যবসায়ী ছিলেন। পাচারের উদ্দেশে হয়তো তিনি এসব ইয়াবা বড়ি পেটে বহন করছিলেন।
জুলহাসের ছোট ভাই মেহেদি হাসান জানিয়েছেন, তার ভাই ২১ এপ্রিল কাজের কথা বলে এলাকা থেকে ঢাকার মিরপুরে আসেন। পরে তার সঙ্গে আর যোগাযোগ ছিল না।