ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে নিপীড়নের পর গায়ে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় অধ্যক্ষ সিরাজ উদ্দৌলাসহ ২ শিক্ষকের এমপিও স্থগিত করেছে সরকার।
এছাড়াও একই প্রতিষ্ঠানের ইংরেজির প্রভাষক আফসার উদ্দীনেরও এমপিও স্থগিত করা হয়েছে।
রোববার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মো. আবুল খায়ের এমপিও বাতিলের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
নুসরাতের মৃত্যুর পরপরই গত ১১ এপ্রিল এ দুই শিক্ষকের এমপিও স্থগিতের পদক্ষেপ নিতে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদফতর থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছিল মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরে।
মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদফতরের পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছিল, মাদ্রাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে শ্লীলতাহানী মামলা নং-২৪, তারিখ ২৭/০৩/২০১৯ এবং হত্যা মামলা নং-১০, তারিখ ০৮/০৪/২০১৯ সোনাগাজী থানার প্রেক্ষিতে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এবং ইংরেজি বিষয়ের প্রভাষক গ্রেফতার হওয়ায় তাদের এমপিও স্থগিত হওয়া প্রয়োজন।
প্রসঙ্গত, গত ৬ এপ্রিল সকালে আলিম পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় যান নুসরাত জাহান রাফি। মাদ্রাসার এক ছাত্রী সহপাঠী নিশাতকে ছাদের ওপর কেউ মারধর করছে, এমন সংবাদ দিলে তিনি ওই ভবনের তিন তলায় যান। সেখানে মুখোশধারী বোরকা পরিহিত ৪-৫ জন তাকে অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলার বিরুদ্ধে মামলা ও অভিযোগ তুলে নিতে চাপ দেয়। তিনি অস্বীকৃতি জানালে গায়ে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
গত ১০ এপ্রিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মারা যান নুসরাত।
এর আগে ২৭ মার্চ ওই ছাত্রীকে নিজ কক্ষে নিয়ে শ্লীলতাহানি করেন অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলা। এ ঘটনায় ছাত্রীর মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন। ওই দিনই অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলাকে আটক করে পুলিশ। সে ঘটনার পর থেকে তিনি কারাগারে আছেন।