কাতারের রাজধানী দোহায় এক যৌথ সামরিক মহড়ায় অংশ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক ও কাতার। শনিবার কাতারি সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল ঘানেম বিন শাহিন আল ঘানেম আকাশপথের এ মহড়া পরিদর্শন করেন। রবিবার এক প্রতিবেদনে এ খবর আনাদোলু এজেন্সি।
কাতারি কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী ও দেশটির বিশেষায়িত বাহিনীগুলো এ মহড়ায় অংশ নিচ্ছে। ২৩ এপ্রিল শুরু হওয়া তিন দেশের এ মহড়া চলবে আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত।
মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন মিত্র হিসেবে পরিচিত কাতারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে তুরস্কের। ২০১৭ সালে সৌদি জোটের কাতারবিরোধী অবরোধ দৃশ্যত একাই ব্যর্থ করে দেয় আঙ্কারা। ওই অবরোধের কয়েক মাসের মাথায় দেশটিতে তুর্কি রফতানির পরিমাণ বৃদ্ধি পায় প্রায় তিনগুণ। ২০১৭ সালের ৫ জুন কাতারবিরোধী অবরোধ আরোপ করে সৌদি জোট। একই বছরের আগস্টে তুর্কি অর্থমন্ত্রী নিহাদ জিবেকজি মন্তব্য করেন, কাতারের চাহিদা পূরণে তুরস্কই যথেষ্ট।
বিশেষজ্ঞদের মতে, আঙ্কারার এ অবস্থানের পেছনে গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু কারণ রয়েছে। ২০১৬ সালে তুরস্কের ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানের সময় এরদোয়ানের পাশে দাঁড়ান কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানি। অভ্যুত্থান চেষ্টার পর এরদোয়ানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাতারের বিশেষ বাহিনীর ১৫০ সদস্যের একটি ইউনিট তুরস্ক পাঠানো হয়। দুই দেশই মুসলিম ব্রাদারহুড এবং হামাসকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ মনে করে না।