“আগামী বাজেটে পুঁজিবাজারের জন্য প্রণোদনা থাকবে।”
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল দেশের অর্থনীতি অত্যন্ত চাঙা ও শক্তিশালী হলেও বর্তমানে পুঁজিবাজারে নিয়ন্ত্রণ নেই বলে জানিয়েছেন। তবে পুঁজিবাজার শক্তিশালী করার জন্য যা যা করার সব করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন মন্ত্রী।
আজ রোববার বিকালে সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশনে মন্ত্রীদের জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের সংসদ সদস্য আহসানুল হক টিটুর সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পুঁজিবাজারের সমস্যা চিহ্নিত করা হয়েছে
অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের এগিয়ে যাওয়া থমকে যাবে, যদি আমাদের পুঁজিবাজারকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারি। আমি বলব, পুঁজিবাজারটি এখন নিয়ন্ত্রণে নাই। তবে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে নাই, এটা বলব না। তবে পুঁজিবাজারে যে সকল সমস্যা আছে এরই মধ্যে আমরা চিহ্নিত করেছি। সবগুলোই এক এক করে সমাধান দেব।
মুস্তফা কামাল বলেন, একটা দেশের অর্থনীতি যত শক্তিশালী হয়, তার প্রতিফলনটা আমরা দেখতে পাই পুঁজিবাজারে। পৃথিবীর সারাদেশেই এভাবে পুঁজিবাজার আর অর্থনীতি সম্পৃক্ত থাকে। আমাদের দেশের অর্থনীতি অত্যন্ত চাঙা ও শক্তিশালী। কয়েক দিন আগে আইএমএফ এর সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছি। সেখানেও তারা আমাদের গতিশীলতা দেখে তারা অত্যন্ত উচ্ছ্বাসিত। সে সময় আরও যারা মিটিং করেছেন তারা সবাই বলেছেন, বাংলাদেশকে অনুসরণ করার জন্য।
বাজেটে পুঁজিবাজারের জন্য প্রণোদনা থাকবে
আসন্ন বাজেটে পুঁজিবাজারে জন্য প্রণোদনা থাকবে কি না এমন প্রশ্নে অর্থমন্ত্রী বলেন, আগামী বাজেটে পুঁজিবাজারের জন্য প্রণোদনা থাকবে। কতটা থাকবে সেটা এই মুহূর্তে বলতে পারব না। তবে পুঁজিবাজারকে শক্তিশালী করার জন্য যাই কিছু করার প্রয়োজন তাই ব্যবস্থা করব।
এ সময় প্রশ্নকারীকে আশ্বস্ত করে মন্ত্রী বলেন, আমি আশ্বস্ত করতে পারি, সরকার অর্থনৈতিক এলাকায় যেমনিভাবে চিন্তা করে, তেমনি পুঁজিবাজার নিয়েও ততটা যত্নশীল। আমি নিজেও পুঁজিবাজারের সঙ্গে যারা সংশ্লিষ্ট তাদের সবাইকে নিয়ে এক দুই দফা মিটিং করেছি, আরও মিটিং করব। মিটিং করে পুঁজিবাজারকে আর ১০টি দেশে যেভাবে চলে সেইভাবেই চালাবার জন্য চেষ্টা করব। আমাদের বিচ্যুতিগুলো অবশ্যই দূর করব।