পানি বিশুদ্ধ করবে বোতল! অবাক হবার কিছু নেই। বিশ্বে এই প্রথম এক বোতল বাজারে এসেছে যা কিনা আল্ট্রা ভায়োলেট রশ্মির মাধ্যমে নিজেই পানি বিশুদ্ধ করতে পারে। ‘লার্ক’ নামের বিশেষ এই বোতলটিতে আমেরিকার সান ফ্রান্সিসকো’র একটি কোম্পানি তৈরি করেছে। বোতলটির বিশেষত্ব হচ্ছে মাইক্রোচিপ পানি প্রায় ১০০ শতাংশ বিশুদ্ধ করতে পারে।
গবেষণায় দেখা গেছে, বেশিরভাগ পানির বোতলে ই. কোলি, স্টেফাইলোককাস অরিয়াসের মতো ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া বাসা বাঁধতে পারে। এ সমস্যা নিরসনে বাজারে এসেছে লার্ক বোতল, যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বোতলের পানিকে বিশুদ্ধ করতে সক্ষম। লার্ক বোতলটির ঢাকনায় আছে আল্ট্রা ভায়োলেট- সিএলইডি মাইক্রোচিপ, যা বোতলের পানিতে থাকা ৯৯.৯৯ শতাংশ ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস মেরে ফেলতে পারে। এটি আধা লিটারের মতো পানি ধারণ করতে পারে। বোতলটির পানি ২৪ ঘণ্টা ঠান্ডা থাকে। বোতলটিতে থাকা ডিজিটাল ইউভি টেকনোলজির কারণে প্রতি দুই ঘণ্টা অন্তর স্বয়ংক্রিয়ভাবে আল্ট্রা ভায়োলেট রশ্মি সক্রিয় হয়। এতে পানি দ্রুত বিশুদ্ধ হয়। বোতলটির দাম ধরা হয়েছে ৯৫ ডলার। দেখতে বেশ আকর্ষণীয় ও সহজে বহনযোগ্য।
কোম্পানিটি দাবি করেছে, বোতলটি এক মিনিটের মধ্যেই প্রায় সব ব্যাকটেরিয়া ধবংস করে পানি বিশুদ্ধ করতে পারে। পানিতে আল্ট্রা ভায়োলেট রশ্মি শোষণ হওয়ার পর তা ডিএনএ’র রাসায়নিক বন্ধন ভেঙে দেয়। এর ফলে ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস মারা যায়।
কোম্পানিটি আরো জানিয়েছে, কোনো ধরনের ফিল্টার, পারদ বা ওজন গ্যাস ছাড়াই বোতলটি পানি বিশুদ্ধ করে। আর বিশ্বের একমাত্র পারদবিহীন বহনযোগ্য পানি বিশুদ্ধকরণ প্রক্রিয়া এই বোতল, তেমনটাও বলছে কোম্পানিটি।
বোতলটিকে নরমাল মুডে রাখতে এর ঢাকনায় একবার চাপ দিতে হয়। আর পানি বিশুদ্ধ করতে দুই বার চাপ দিতে হয়। লার্ক কোম্পানি তাদের এই বিশেষ বোতল প্রযুক্তির পরীক্ষা চালিয়েছে ক্যালিফোর্নিয়ার হারেন্স ল্যাবে। কয়েকটি আকর্ষণীয় রঙয়ে বোতলটি বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। যেমন- মোনাকো ব্লু, অবসিডিয়ান ব্ল্যাক, সি সাইড মিন্ট, গ্রানাইট হোয়াইট ও হিমালায়ান পিংক। বোতলটি শুধু পানি বিশুদ্ধ করার কাজটা করে। তাই এতে কফি বা জুস নিলে বোতলটিকে সাবান পানিতে ধুয়ে নিতে হবে, তেমন পরামর্শও দিয়েছে নির্মাতা কোম্পানি।