সিলেটে পরিবহন শ্রমিকদের কর্মবিরতি, দুর্ভোগে যাত্রীরা

ডেস্ক রিপোর্ট

বাস থেকে ফেলে শিক্ষার্থী হত্যার ঘটনায় জড়িত বাস চালক ও হেলপারের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার ধারা পরিবর্তনসহ সাত দফা দাবিতে সিলেটে কর্মবিরতি পালন করছে পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন।

সোমবার সকালে থেকে নগরে দূরপাল্লার যানবাহনসহ সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে সৃষ্টি হয়েছে যাত্রী ভোগান্তি। কর্মবিরতি পালনকালে নগরে প্রাইভেটকারসহ সব যান চলাচলে বাধা সৃষ্টি করছেন পরিবহন শ্রমিকরা।

universel cardiac hospital

এ অবস্থায় নগরবাসীর একমাত্র ভরসা রিকশা ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা।

সরেজমিন দেখা গেছে, পরিবহন শ্রমিকদের কর্মবিরতির কারণে বাস টার্মিনাল এলাকায় সারিবদ্ধভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে বাস ও অন্যান্য যানবাহন। আন্তঃজেলা ও আঞ্চলিক সড়কে বাস সার্ভিস চলাচল না করায় ভোগান্তিতে পড়েছে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও চাকরিজীবীরা। এতে জনভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে। এদিকে দুরপাল্লার যাত্রীরা বিকল্প হিসেবে ট্রেনে যাত্রা করেছেন।

এর আগে শনিবার সংবাদ সম্মেলন করে শেরপুরে দুর্ঘটনায় সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) ছাত্র মো. ওয়াসিম আব্বাস ঘোরী মৃত্যুর ঘটনায় মৌলভীবাজার থানায় দায়ের করা হত্যা মামলার ধারা পরিবর্তনসহ সাত দফা দাবি তুলে ধরেন শ্রমিক ফেডারেশনের নেতারা।

শ্রমিকদের দাবিগুলো হলো- গত ২৩ মার্চ মৌলভীবাজার থানায় দুর্ঘটনা মামলা নং-২২ (৩)১৯ থেকে দন্ডবিধি ৩০২ এর স্থলে ৩০৪ ধারা দিতে হবে, সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর ১০৫ ধারায় জরিমানার পরিমাণ পাঁচ লাখ টাকার পরিবর্তে ৫০ হাজার টাকা করতে হবে, এ আইনে ৮৪, ৯৮ ও ১০৫ ধারাকে জামিনযোগ্য করতে হবে এবং ৮৪ ও ৯৮ পৃথক ধারা দুটিতে জরিমানা তিন লাখের স্থলে ৩০ হাজার করতে হবে, দুর্ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে ধারা নির্ধারণ এবং তদন্ত কমিটিতে শ্রমিক প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করা।

পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সিলেট বিভাগীয় সভাপতি সেলিম আহমদ ফলিক বলেন, গত ৩০ এপ্রিলের মধ্যে তাদের এসব দাবি মানা না হলে রোজার পর অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের আহ্বান করা হবে।

এছাড়া সকাল থেকে সিলেটের হবিগঞ্জ বাস টার্মিনাল থেকে দুরপাল্লার কোনো গাড়ি ছেড়ে যায়নি। এমনকি অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোতেও চলাচল করেনি কোনো যানবাহন। এতে এ অঞ্চলের সাধারণ যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে