স্পেনের জাতীয় নির্বাচনে ক্ষমতাসীন সোশালিস্ট পার্টি জয় পেয়েছে, কিন্তু একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে।
চার বছরের মধ্যে ততৃীয় এ নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজের পার্টি ২৯ শতাংশ ভোট পেয়েছে বলে খবর বিবিসির।
কিন্তু সরকার গঠন করতে হলে সোশালিস্টদের বামপন্থি পোদেমোস অথবা আঞ্চলিক পার্টিগুলোর অথবা মধ্যডানপন্থিদের সহায়তা নিতে হবে।
১৯৭০-র দশকে দেশটিতে সামরিক শাসনের অবসানের পর এই প্রথম কট্টর ডানপন্থিরা পার্লামেন্টে আসন পেয়েছে। কট্টর ডানপন্থি দল ভক্স বহুসংস্কৃতি, নারীবাদ ও অবাধ অভিবাসনের বিরোধী।
এ নির্বাচনের আরেকটি বড় দিক হল পপুলার পার্টির (পিপি) জনপ্রিয়তায় ধস নামা। ২০১৮ সালে পার্লামেন্টের আস্থা ভোটে হারার আগ পর্যন্ত দলটি স্পেনের ক্ষমতায় ছিল। আগের ১৩৭টি আসনের জায়গায় এবার দলটি মাত্র ৬৬টি আসন পেয়েছে, এটিই এ পর্যন্ত তাদের সবচেয়ে খারাপ নির্বাচনী ফলাফল।
নির্বাচনে জয়ের পর দেয়া ভাষণে সানচেজ বলেছেন, সোশালিস্ট পার্টির সামনে বড় চ্যালেঞ্জগুলো হল অসমতার বিরুদ্ধে লড়াই, সহঅবস্থানকে এগিয়ে নেয়া ও দুর্নীতি থামানো।
উৎফুল্ল সমর্থকদের তিনি বলেন, ভবিষ্যৎ জয়ী হয়েছে আর অতীত হেরে গেছে।
প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বপালকালে তিনি সর্বনিম্ন মজুরি বৃদ্ধি, নারী প্রধান মন্ত্রিসভা গঠন এবং পরিষ্কার সম্মতি ছাড়া যৌনসম্পর্ককে ‘ধর্ষণ’ বিবেচনা করে আইন প্রণয়ণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
নির্বাচনে সোশালিস্টরা ১২৩টি আসনে জয় পেয়েছে। তাদের সাবেক জোট মিত্র পোদেমোস জিতেছে ৪২টি আসনে।
সোশালিস্ট পার্টির এই ফলাফলকে প্রধানমন্ত্রী সানচেজের ব্যক্তিগত সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে। আগের বারের চেয়ে এবারের নির্বাচনে তার দলের ভোট ২৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
কিন্তু সোশালিস্ট ও পোদেমোস দলের মোট আসন স্পেনের ৩৫০ আসনের পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজনীয় ১৭৬ আসন থেকে ১১টি কম।
ছোট আঞ্চলিক দলগুলোর সমর্থন নিয়ে সানচেজ ওই শূন্যতা পূরণ করতে পারেন। যাদের মধ্যে বাস্ক ন্যাশনালিস্ট পার্টিও আছে। কিন্তু তিনি সম্ভবত স্বাধীনতাপন্থি কাতালান দলগুলোরই সহায়তা চাইবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গত মাসে তার সরকারের প্রতি এই দলগুলোর সমর্থন প্রত্যাহারের কারণেই নতুন জাতীয় নির্বাচনের দরকার হয়ে পড়ে।