আগামী ২ দিনে সিলেট ছাড়া দেশের কোথাও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই

ডেস্ক রিপোর্ট

তাপমাত্রা
ফাইল ছবি

সহসা কমছে না গ্রীষ্মের তাপদাহ। সারাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহ থাকতে পারে আরও দুদিন। আজ-কালের মধ্যে নেই বৃৃষ্টির সম্ভাবনা।

আজ সোমবার দুপুরে আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ গণমাধ্যমকে জানান, আগামী দুই দিনে সিলেট ছাড়া দেশের কোথাও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। ফলে তাপদাহ অব্যাহত থাকতে পারে। এখনই তাপমাত্রা কমার কোনো লক্ষণ নেই।

সূর্য ডোবার পরও তাপমাত্রা কমছে না, শীতল হচ্ছে না চারপাশ। ফলে অসহনীয় গরমে মানুষ হাঁসফাঁস করছে।

পর্যাপ্ত গাছপালা ও জলাশয় না থাকায় রাজধানী ঢাকা ক্রমেই উত্তপ্ত ভূমিতে পরিণত হচ্ছে। তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। বিশেষ করে খেটে খাওয়া মানুষের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। 

আবহাওয়া অধিদপ্তরের রেকর্ড অনুযায়ী, বোববার রাজশাহীতে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক আব্দুস সালাম জানান, এটা মাঝারি তাপদাহ। তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে  গেলে তা হবে তীব্র তাপদাহ।

এ দিকে দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘ফণি’ আরও উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে।

ঘূর্ণিঝড়টি আজ সোমবার সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৬২০ কিলোমিটার দক্ষিণে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৫৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৫৮০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৫৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল।

ঘূণিঝড়টি আরও ঘণীভূত হয়ে উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে