ভারতের জাতীয় নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে সোমবার আটটি রাজ্যে ৭১টি লোকসভা আসনে ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে। এছাড়া জম্মু ও কাশ্মীরের একাংশেও এদিন ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে।
এদিন স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় বিহার, ঝাড়খন্ড, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, ওড়িশা, রাজস্থান, উত্তর প্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের ৭১টি আসন এবং জম্মু ও কাশ্মীরের একাংশে ভোটগ্রহণ শুরু হয়।
সোমবার বিহার রাজ্যে ৫টি, মধ্যপ্রদেশে ৬টি, মহারাষ্ট্রে ১৭টি, ওড়িশায় ৬টি, রাজস্থানে ১৩টি, উত্তর প্রদেশে ১৩টি, পশ্চিমবঙ্গে ৮টি ও ঝাড়খন্ডের ৩টি আসনে ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ক্ষমতাসীন বিজেপির মসনদ ধরে রাখার লড়াই চতুর্থ দফা থেকেই কার্যত শুরু হলো। এর আগে অনুষ্ঠিত তিন ধাপের নির্বাচনে যা-ই হোক না কেন, বাকি চার দফায় ভোট সামান্য কমলেও বিজেপিকে আবার সরকার গঠন করতে হলে অস্থিরমনা জোট শরিকদের ওপর নির্ভর করতে হবে।
একটি জরিপে বলা হয়েছে, প্রথম তিন ধাপের ভোটে বিজেপি অন্তত ৬০টি আসন হারাতে পারে। এ অবস্থা বজায় থাকলে শেষ পর্যন্ত এবারের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির আসন ২০০-এর নিচে নেমে আসতে পারে।
এনডিটিভির এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, পাঞ্জাব থেকে রাজস্থান, বিহার থেকে ঝাড়খন্ড পর্যন্ত হিন্দিভাষী ১৯৫ আসনের মধ্যে গত নির্বাচনে বিজেপি ও তার মিত্ররা পেয়েছিল ১৭৭ আসন। মোট আসনের ৯০ ভাগই ছিল তাদের দখলে। চলমান সংসদ নির্বাচনে ২০১৪ সালের মতো বড় জয় পেতে হলে বিজেপি জোটকে আবারও একই ফল অর্জন করতে হবে। সেটা দৃশ্যত অসম্ভব বলেই মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা। এবার উত্তর প্রদেশ, বিহার, কর্ণাটক ও মহারাষ্ট্রে প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখোমুখি হচ্ছে বিজেপি।
এবার কংগ্রেসসহ বিজেপিবিরোধী দলগুলো নির্বাচনে ভালো করবে বলে জনমত জরিপে ইঙ্গিত মিলছে। কোনো কোনো বিশ্লেষক বলছেন, শেষ পর্যন্ত মোদির পুনরায় সরকার গঠন কঠিন হয়ে দাঁড়াতে পারে।
৫৪৩ আসনের লোকসভা নির্বাচনে এর আগে গত ১১, ১৮ ও ২৩ এপ্রিল তিন ধাপে ভোট গ্রহণ করা হয়। সোমবার চতুর্থ ধাপে ভোটগ্রহণের পর আগামী ৭, ১২ ও ১৯ মে পরবর্তী তিন ধাপে ভোট গ্রহণ করা হবে। সাত ধাপে ভোট গ্রহণের পর আগামী ২৩ মে গণণা শেষে ফল ঘোষণা করা হবে।
বিশ্বের বৃহত্তম ও ব্যয়বহুল এ নির্বাচনে ভোটার প্রায় ৯০ কোটি। ভোটে প্রার্থী ও রাজনৈতিক দলগুলোর প্রায় ৭০ হাজার কোটি রুপি খরচ হবে। রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে কাদা ছোড়াছুড়ি থাকলেও নির্বাচন মোটামুটি শান্তিপূর্ণভাবেই অনুষ্ঠিত হয়েছে।