অনিয়মের অভিযোগে রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ নিয়োগ স্থগিত করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সোমবার (২৯ এপ্রিল) মন্ত্রণালয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপ-সচিব আনোয়ারুল হক স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ নিয়োগ স্থগিত করা হয়।
আদেশে বলা হয়, ‘অধ্যক্ষ নিয়োগের জন্য অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগ উত্থাপিত হওয়ায় এ নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত রাখার নির্দেশ দেয়া হলো।’
একই কর্মকর্তার স্বাক্ষরিত অপর এক চিঠিতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে এ নিয়োগের অনিয়মের পুরো ঘটনা তদন্ত করে আগামী তিনদিনের মধ্যেই প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এর আগে, গত ২৮ এপ্রিল অধ্যক্ষ পদের প্রার্থী ভিকারুননিসার অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হাসিনা বেগম এ অনিয়ম তুলে ধরে একটি লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগে বলা হয়, ‘লিখিত পরীক্ষায় ৩০ নম্বরের মধ্যে আমি (হাসিনা বেগম) মাত্র ১০ নম্বর পেয়েছি, যা আমার নিকট অবিশ্বাস্য হিসেবে প্রতীয়মান হয়েছে।’
‘লিখিত উত্তরপত্র মূল্যায়নে ত্রুটি রয়েছে’ উল্লেখ করে হাসিনা বেগম লিখিত উত্তরপত্র ‘নিরপেক্ষ পরীক্ষক দ্বারা পুনঃমূল্যায়ন ও পুনঃনিরীক্ষণের’ দাবি জানিয়েছেন।
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে অধ্যক্ষ নিয়োগ দেয়ার জন্য স্কুলের গভর্নিং বডি একটি নিয়োগ কমিটি গঠন করে। কমিটিতে গভর্নিং বডির সদস্য আতাউর রহমান, মাউশির পরিচালক (কলেজ) অধ্যাপক শাহেদুল খবীর চৌধুরী এবং ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ফেরদৌস আরাও ছিলেন।
২৬ এপ্রিল সকালে লিখিত পরীক্ষার আয়োজন করা হয়। নিয়োগ পরীক্ষায় মোট ১৫ জন প্রার্থীর অংশগ্রহণ করার কথা থাকলেও ১৩ জন উপস্থিত ছিলেন। মোট ১০ জন প্রার্থী মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। তাদের মধ্যে রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রুমানা শাহীন শেফাকে ভিকারুননিসার অধ্যক্ষ হিসেবে চূড়ান্ত করা হয়, যিনি লিখিত পরীক্ষায় মাত্র সাড়ে ৩ নম্বর পেয়েছেন। তবে মৌখিক পরীক্ষায় ও একাডেমিক পারফরমেন্সের মাধ্যমে তাকে পরীক্ষায় প্রথম করা হয়।