বগুড়ার ধুনট উপজেলায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে যমুনা নদীর বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধের মাটি কেটে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে। বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী লিখিত এই অভিযোগ করেন।
এই ঘটনায় অভিযুক্ত রফিকুল ইসলাম উপজেলার ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও গোসাইবাড়ি উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নের শহড়াবাড়ি থেকে মাধবডাঙ্গা গ্রাম পর্যন্ত এক হাজার মিটার দীর্ঘ যমুনা নদীর বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ রয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো)।
বাঁধ নির্মাণের ফলে প্রতিবছর বন্যার হাত থেকে রক্ষা পায় ধুনট, শেরপুর, কাজীপুর ও রায়গঞ্জ উপজেলাবাসী। ওই বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধের ভাঙন রোধে বানিয়াজান গ্রামের কাছে নদীর বুকে প্রায় ১ হাজার ২০০ মিটার দীর্ঘ একটি স্পার (মাটির বাঁধ) নির্মাণ করা হয়।
ওই বাঁধ ঘেঁষেই রফিকুল ইসলামের জমি রয়েছে। তিনি প্রায় এক সপ্তাহ ধরে তাঁর জমি থেকে মাটি কাটার পাশাপাশি বাঁধের মাটিও কেটে বিক্রি করছেন। এতে বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ হুমকির মুখে পড়েছে।
এই ঘটনায় বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী আসাদুল হক বাদী হয়ে ২৪ এপ্রিল রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা রফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, বাঁধের পাশে তাঁর নিজস্ব জমিতে মাটি কেটে পুকুর খনন করছেন। সেই মাটি তিনি বিক্রি করেছেন। বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধের কোনো ক্ষতি করা হয়নি। তাঁর বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে।
অপর দিকে বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী আসাদুল হক বলেন, জমির মাটি কাটতে গিয়ে বাঁধ থেকে মাটি কাটা হয়েছে। এতে বাঁধের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এ বিষয়ে ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, বাঁধের পাশ থেকে মাটি কাটতে রফিকুল ইসলামকে প্রাথমিকভাবে নিষেধ করা হয়েছে। তারপরও মাটি কেটে নিলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজিয়া সুলতানা বলেন, বাঁধের ক্ষতি করে মাটি কাটার অভিযোগ তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।