চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজে নামে-বেনামে পণ্য আমদানি

ডেস্ক রিপোর্ট

চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজে নামে বেনামে লাইসেন্স ব্যবহার করে দীর্ঘদিন ধরে মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানিসহ নানা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে একটি চক্র। সম্প্রতি আর এস কর্পোরেশন ও এস এন ট্রেড নামে দুইটি সিএন্ডএফ প্রতিষ্ঠান এমন অপকর্মে জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছেন কাস্টমস ও শুল্ক কর্মকর্তারা। কিন্তু নেয়া হয়নি কার্যকর কোনো ব্যবস্থা।

শুল্ক ফাঁকির চারটি প্রক্রিয়া হচ্ছে পণ্যের দাম কম দেখানো, পণ্যের গুণগত মানে জালিয়াতি, পণ্যের পরিমাণ ও ওজন কম দেখানো এবং এইচএস কোড জালিয়াতি।

universel cardiac hospital

চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজে কিছু সিএন্ডএফ এজেন্টের এসব প্রক্রিয়ায় শুল্ক ফাঁকি দেওয়া কোনোভাবেই ঠেকানো যাচ্ছে না। তবে রাজস্ব ফাঁকি ও জালিয়াতির অভিযোগে সিএন্ডএফ এজেন্ট আর এস কর্পোরেশন ও এস এন ট্রেড এর বিরুদ্ধে গত কয়েক বছরে ২০টির বেশি মামলা হয়েছে। আটক করা হয়েছে বেশ কিছু চালান।

চট্টগ্রাম চেম্বার বন্দর-শিপিং স্ট্যান্ডিং কমিটি আহ্বায়ক মাহফুজুল হক শাহ জানান, এটার ব্যাপারে চট্টগ্রাম চেম্বার, বিজিএমইএ এবং অন্যান্য ব্যবসায়ী সংগঠন সিএন্ডএফ এজেন্টের পক্ষ থেকেও কিন্তু আমরা বার বার করে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি এবং এটার ব্যাপারে অতিসত্ত্বর যদি একটা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করে তাহলে এই জালিয়াতির ঘটনাগুলো আরও বেড়ে যাবে।

সিএন্ডএফ প্রতিষ্ঠান দুইটির মালিক সাইফুল ইসলাম এসব অনিয়মের ব্যাপারে কথা বলতে রাজি হননি।

এস এন ট্রেড ও আর এস করপোরেশন কর্মকর্তা জহিরুল হক রাশেদ বলেন, এগুলো আভ্যন্তরিণ ব্যাপার। এইসব বিষয়েতো আমাদের সঙ্গে আলোচনা করা হয় না। আমরা শুধু কাজ করি, কাজ শেষে চলে যাই। আমরাতো শুধু আমাদের যেই লাইসেন্সগুলো সেগুলো দিয়েই কাজ করি, এর বাইরেতো জানা নেই। আমাদের এখানে যেগুলো আসে শুধু সেগুলোই আমি সাবমিট করি।

নানা অনিয়মের অভিযোগে প্রতিষ্ঠান দুইটির লাইসেন্স বাতিল করার বিধান থাকলেও কাস্টমস কর্তৃপক্ষ নামমাত্র জরিমানা করেই ছেড়ে দিচ্ছে। তারপরও জালিয়াতি বন্ধ করেনি তারা।

সিএন্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশন সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন বাচ্চু জানান, শুল্ক ফাঁকির সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের পক্ষে নয়। আমরা রাষ্ট্রের শুল্ক সংরক্ষণের পক্ষে সবসময় ভূমিকা রাখি। আমাদের অনুরোধ থাকবে কর্তৃপক্ষের নিকট, অত্যাধিক লাইসেন্স ইস্যু করা যেনো বন্ধ করা হয়।

সিএন্ডএফ প্রতিষ্ঠান দুইটিকে কালো তালিকাভুক্ত করায় এখন মমতা এন্টারপ্রাইজের লাইসেন্স ব্যবহার করে তাদের অপতৎপরতা চলছে বলে জানা গেছে। তবে এ বিষয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি কাস্টমস কমিশনারও।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে