স্ত্রীর স্বীকৃতি চাওয়ায় পুড়িয়ে হত্যা মামলার ৫ আসামি রিমান্ডে

সারাদেশ ডেস্ক

দগ্ধ শাহেনুর
দগ্ধ শাহেনুর। ফাইল ছবি

স্ত্রীর স্বীকৃতি চাওয়ায় লক্ষ্মীপুরের তরুণী শাহীনুর আক্তারের শরীরের আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা মামলার পাঁচ আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে পেয়েছে পুলিশ। রিমান্ড আবেদনের শুনানি করে আজ মঙ্গলবার লক্ষ্মীপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তারিক আজিজ এ আদেশ দেন।

এরা হলেন- শাহীনুরের কথিত স্বামী মামলার প্রধান আসামি সালাহ উদ্দিন, তার ভাই আব্দুর রহমান বিশ্বাস, আলাউদ্দিন, স্থানীয় ইউপি সদস্য হাফিজ উদ্দিন ও গ্রাম পুলিশ আবু তাহের।

ওই আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জসিম উদ্দিন বলেন, এ মামলায় সালাউদ্দিনকে জিজ্ঞসাবাদের জন্য পুলিশ সাত দিনের রিমান্ড চাইলে বিচারক তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।  বাকিদের জন্য পাঁচদিন করে রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছিল; তাদের দুইদিন করে মঞ্জুর হয়েছে।

 লক্ষ্মীপুরের পুলিশ সুপার আ স মাহাতাব উদ্দিন জানান, সালাহ উদ্দিনকে সোমবার বিকালে লক্ষ্মীপুরের রামগতির বুড়া কর্তার আশ্রম এলাকা থেকে এবং ২৩ এপ্রিল বাকিদের গ্রেপ্তার করা হয়।

প্রসঙ্গত, স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে চট্টগ্রামের রাউজান থেকে লক্ষ্মীপুর এসে অগ্নিদগ্ধ হন শাহীনুর। গত ২২ এপ্রিল লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার পাটারিরহাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরদিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় নিহতের বাবা জাফর উদ্দিন বাদী হয়ে সালাহ উদ্দিন, আব্দুর রহমান বিশ্বাস, আলা উদ্দিন, স্থানীয় ইউপি মেম্বার হাফিজ উদ্দিন, স্থানীয় গ্রাম পুলিশ আবু তাহের নামে মামলা করেন। এজাহারে অজ্ঞাত আরও আট জনকে আসামি করা হয়।

লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে শাহীনুর সংবাদকর্মীদের জানিয়েছিলেন, দুই বছর আগে মোবাইল ফোনে কমলনগরের পাটারীরহাট এলাকার মোহর আলীর ছেলে সালাহ উদ্দিনের সঙ্গে তার প্রেম হয় এবং এর কয়েকমাস পরে রাউজানে তাদের বিয়ে হয়।

বিয়ের পর থেকে তার স্বামী এক বছর শ্বশুরালয়ে আসা-যাওয়া করলেও স্ত্রীকে কখনই নিজের বাড়ি নেওয়ার আগ্রহ দেখায়নি বলে মেয়েটির ভাষ্য।

শাহীনুরের জানিয়েছিলেন, বিভিন্ন সময়ে তিনি শ্বশুরবাড়ি আসার তাগিদ দিলেও তাতে সাড়া দেননি স্বামী সালাহ উদ্দিন।

এ অবস্থায় খোঁজখবর নিয়ে গত শুক্রবার রাতে তিনি একাই আসেন স্বামীর বাড়ি। সেখানে এসে দেখতে পান সালাহ উদ্দিন দুই সন্তানসহ অন্য স্ত্রী নিয়ে অনেক আগে থেকেই সেখানে সংসার করছেন।

শাহীনুর নিজেকে স্ত্রী হিসেবে পরিচয় দিলে সালাহ উদ্দিন তা অস্বীকার করেন। এরপর তিনি স্ত্রীর স্বীকৃতি আদায়ের আশায় দুই দিন ধরে এলাকায় বিভিন্নজনের কাছে ধর্না দেন বলে জানান। 

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে