পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার এ বিষয়ক এক প্রস্তাবে সমর্থন জানিয়েছেন ব্রিটিশ সংসদ সদস্যরা। কোনো ভোট ছাড়াই প্রস্তাবটি পাস হয়েছে। পার্লামেন্টে প্রস্তাবটি রাখেন বিরোধীদলীয় নেতা জেরেমি করবিন।
করবিন বলেন, এগিয়ে যাওয়ার পক্ষে এটি একটি বিশাল পদক্ষেপ।
উল্লেখ্য, পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউজ অব কমন্স এই জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। কিন্তু এই ঘোষণার কোনো আইনি ক্ষমতা নেই। তবে এতে সাংসদদের ইচ্ছা প্রকাশ পায়।
এদিকে, ব্রিটিশ পরিবেশমন্ত্রী মাইক্যাল গোভ স্বীকার করেছেন যে, জলবায়ু ‘জরুরি অবস্থায়’ রয়েছে। তবে এমনটা ঘোষণা দেয়ার পক্ষে ছিলেন না তিনি। তবে করবিনের প্রস্তাবের প্রধান দাবিগুলোর একটি ছিল এই ঘোষণা।
প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে জলবায়ু জরুরি অবস্থা ঘোষণা করার দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ করে আসছে পরিবেশবাদী সংস্থা এক্সটিংকশন রেবেলিয়ন। ঘোষণার প্রস্তাবটি পাস হওয়ার পর করবিন তাদের উদ্দেশে দেয়া এক বক্তব্যে বলেন, এই ঘোষণার কারণে পার্লামেন্ট ও বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন সরকার নতুন অনেক পদক্ষেপ নেয়া হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, আমরা জলবায়ু বিপর্যয় থামাতে বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যথাসম্ভব ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার প্রতিশ্রুতি জানাচ্ছি। পাশাপাশি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে এটা পরিষ্কার করে তুলতে চাই যে, তিনি জলবায়ু সংকট বিষয়ক আন্তর্জাতিক চুক্তি ও কার্যক্রম অগ্রাহ্য করতে পারেন না।
জলবায়ু জরুরি অবস্থা কী?
ইতোমধ্যে যুক্তরাজ্যের কয়েক ডজন শহর জলবায়ু জরুরি অবস্থার ঘোষণা দিয়েছে। কিন্তু এই জরুরি অবস্থা দিয়ে ঠিক কী বোঝায় তা এখনো স্পষ্ট নয়। কিন্তু অনেক স্থানীয়দের ভাষ্য, তারা ২০৩০ সালের মধ্যে তাদের কার্বন-নিরপেক্ষ হতে চায়।
এই লক্ষ্য অর্জনে বেশকিছু পরিষদ, ইলেকট্রিক গাড়ি ও স্থিতিশীল বাড়ি নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
এদিকে, যুক্তরাজ্য সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে, ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নির্গমন ৮০ শতাংশ হ্রাস করা।