রংপুরের মিঠাপুকুরে এক দিনমজুরকে হত্যার পর ফাঁসিতে ঝুলিয়ে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহত এরশাদ মিয়া (৩২)’র স্ত্রী আছেমা বেগমকে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার ৮নং চেংমারী ইউনিয়নের মোসলেম বাজার বড়বাড়ি এলাকা থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় ওই দিনমজুরের মরদেহ উদ্ধারসহ আছেমাকে আটক করা হয়। নিহত এরশাদ ওই গ্রামের মৃত ধিয়ান উদ্দিনের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ১১ বছর আগে মিটাপুকুরের ছড়ান বালুয়া এলাকার আছেমা বেগমের সঙ্গে বিয়ে হয় এরশাদের। নিহত এরশাদ কৃষি কাজ ছাড়াও ঢাকায় পোশাক কারখানায় কাজ করে সংসার চালাতেন। বিয়ের পর থেকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বনিবনা হতো না। এরশাদের পাঁচ বছরের মেয়ে বাবার সঙ্গে থাকলেও স্ত্রী তার ভাইয়ের বাড়িতে থাকতেন।
বুধবার রাতে আছেমা স্বামীর বাড়িতে এলে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া লাগে। পরে বৃহস্পতিবার সকালে স্ত্রীর কান্নার শব্দে প্রতিবেশীরা গিয়ে ফাঁসিতে ঝুলন্ত অবস্থায় এরশাদের মরদেহ দেখতে পায়। খবর পেয়ে মিঠাপুকুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য ইদ্রিস আলী বলেন, এক মাস আগে এরশাদ তার স্ত্রী বাড়িতে নেই বলে আমার কাছে অভিযোগ করে। তাকে থানায় একটি জিডি করতে বলি এবং সে জিডি করেছিল। আমি তাদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে স্ত্রীকে নিয়ে আসা যায় কি-না এরশাদকে আশ্বস্ত করেছিলাম।
বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থলে এসে জানতে পারি গতকাল আছেমা স্বামীর বাড়িতে আসার পর ঝগড়া লাগে। ঝগড়ার একপর্যায়ে সে এরশাদের অণ্ডকোষ চেপে ধরে। এতে এরশাদের মৃত্যু হয়েছে।
এরশাদ মিয়ার পাঁচ বছরের মেয়ে সাদিয়া পুলিশকে জানায়, আরো দুইজন লোকসহ তার মা মৃত্যুর ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার জন্য বাবাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখে।
মিঠাপুকুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাফর আলী বিশ্বাস বলেন, মরদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এরশাদের স্ত্রী আছেমাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।