ফনি মোকাবেলায় প্রস্তুত চট্টগ্রাম উপকূলীয় অঞ্চল

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

ঘূর্ণিঝড়
ফাইল ছবি

ঘূর্ণিঝড় ‘ফনি’ মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়ার কথা জানিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। বাতিল করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ছুটি। খোলা হয়েছে বিশেষ কন্ট্রোল রুম।

পাশাপাশি চট্টগ্রাম বন্দরেও নেওয়া হয়েছে বিশেষ সতর্কতা। সন্দ্বীপ, বাঁশখালী, সীতাকুণ্ডসহ উপকূলীয় উপজেলাগুলোতে মাইকিং করা হচ্ছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে শতাধিক আশ্রয় কেন্দ্রও।

universel cardiac hospital

বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলার নিয়ে নগরের ফিশারি ঘাটসহ কর্ণফুলী তীরবর্তী বিভিন্ন ঘাটে আশ্রয় নেন জেলেরা।

ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, ঘূর্ণিঝড় ‘ফনি’ মোকাবেলায় জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির বিশেষ সভা হয়েছে। সেখানে দুর্যোগ মোকাবেলায় সব সংস্থাকে প্রস্তুত থাকার জন্য বলা হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম জেলার উপকূলীয় উপজেলাসহ সব উপজেলার ইউএনওকে আশ্রয় কেন্দ্রে শুকনো খাবার, স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে।

তিনি জানান, দুর্যোগের সময় যাতে মানুষকে দ্রুত চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হয় সে জন্য অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখার পাশাপাশি মেডিকেলগুলোকে প্রস্তুত রাখার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিকে দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

জানা যায়, জেলা প্রশাসনের নির্দেশনার পর চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ, বাঁশখালী ও সীতাকুণ্ডসহ উপকূলীয় এলাকাগুলোতে মানুষকে সতর্ক করতে মাইকিং করছে স্থানীয় প্রশাসন। প্রস্তুত রাখা হয়েছে আশ্রয় কেন্দ্রগুলোও। এছাড়াও দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে বিশেষ ভলেন্টিয়ার বাহিনীকেও। 

এদিকে পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘ফণি’ সামান্য উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও ঘণীভূত হয়ে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার, যা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর বিক্ষুব্ধ অবস্থায় রয়েছে। এজন্য মোংলা ও পায়রা বন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখানোর পাশাপাশি চট্টগ্রাম বন্দরে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। 

চট্টগ্রাম বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক জানান, চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে ৬ নম্বর বিদপ সংকেত জারির পর বন্দরের নিজস্ব অ্যালার্ট-৩ জারি করা হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে পণ্য ওঠানামার কার্যক্রম। বন্দর জেটিতে থাকা সব জাহাজকে বহির্নোঙ্গরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে