ঘূর্ণিঝড় ‌ফণীর প্রভাবে পটুয়াখালীর ৭ হাজার মানুষ পানিবন্দি

সারাদেশ ডেস্ক

পটুয়াখালীর পাঁচ গ্রামের মানুষ পানিবন্দি
নদী ও সাগরের পানি বৃদ্ধি পেয়ে পটুয়াখালীর পাঁচ গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। ছবি : সংগৃহিত

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের দেউলী সুবিদখালী ইউনিয়নের মেহেন্দিয়াবাদ, চরখালী, রানীপুর, হাজীখালী ও গোলখালী গ্রাম ঘূর্ণিঝড় ‌‘ফণী’র প্রভাবে নদী ও সাগরের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পানিতে তলিয়ে গেছে।

প্রবলবেগে জোয়ারের পানি ঢুকে তলিয়ে গেছে এই পাঁচ গ্রামের ফসলি জমিসহ বিস্তীর্ণ জনপদ। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন এসব গ্রামের অন্তত ৭ হাজার মানুষ।

universel cardiac hospital

গ্রামবাসীরা চরখালী স্কুল কাম সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নিয়েছেন। কেউ কেউ ঘরবাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন। 

মেহেন্দিয়াবাদ গ্রামের মনসুর আলী সিকদার বলেন, বেড়িবাঁধবিহীন এখানে থাকা এখন আর সম্ভব নয়। জোয়ারের পানিতে যে কোনো সময় আমাদের ভাসিয়ে নিয়ে যেতে পারেন। তাই ঘরবাড়ি ভেঙে অন্যত্র সরিয়ে নিতে বাধ্য হচ্ছি।’

মেহেন্দিয়াবাদ এলাকার ইউপি সদস্য মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, বেড়িবাঁধ না থাকার কারণে এ এলাকার মানুষ ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই আমাদের দাবি মানুষের জানমালের নিরাপত্তার জন্য এখানে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হোক।’

ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাতে এ জেলার ক্ষয়ক্ষতি বর্ণনা করে আজ শনিবার দুপুরে প্রেস ব্রিফিং করেন জেলা প্রশাসক মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরী।

তিনি জানান, জেলায় ১১ জন আহত হয়, ২০৯২টি বাড়িঘর বিধ্বস্ত, ৬ হাজার ১৮ একর জমির ফসল নষ্ট এবং ১০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ বিধ্বস্ত হয়।

এছাড়া বেশি কিছু গাছপালাও উপড়ে পরেছে। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য ২০০ মেট্রিক টন চাল ও ৫ লাখ টাকা মজুত রাখা হয়েছে।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে