ভারতের লোকসভা নির্বাচন চলাকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ব্যক্তিগত সাক্ষাৎকার নিয়ে আলোচনায় আসেন বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা অক্ষয় কুমার।
তবে এবার জানা গেল তিনি ভারতের নাগরিকই নন। এ কারণে লোকসভা নির্বাচনে ভোটও দিতে পারবেন না খিলাড়ি খ্যাত এই অভিনেতা।
জানা গেছে, ভারতের নাগরিকত্ব নেই অক্ষয় কুমারের। কানাডার পূর্ণ নাগরিকত্ব এবং ভারতের ‘বিদেশী নাগরিকত্ব’ রয়েছে তার।
নাগরিকত্ব নিয়ে এই বিতর্ক ওঠার পর টুইটবার্তায় অক্ষয় জানিয়েছেন, তার যে কানাডিয়ান পাসপোর্ট রয়েছে সেটা তিনি লুকোননি।
কিন্তু তিনি ৭ বছরে একবারও কানাডা যাননি। এ দেশেই কাজ করেন এবং ট্যাক্স দেন। তাই তার নাগরিকতা নিয়ে বিতর্ক অযথা।
তবে ভারতের নাগরিকত্ব না থাকলে তিনি কিভাবে ভারতের কাজ করছেন এবং ধারাবাহিকভাবে বসবাস করছেন। এটি করতে পারছেন ভারতের বিদেশি নাগরিকদের জন্য চালু করা ওভারসিজ সিটিজেনশিপের কারণে।
ওভারসিজ সিটিজেনশিপ কী?
অন্য কোনো দেশের নাগরিকত্ব রয়েছে কিন্তু তারা ভারতীয় এমন ব্যক্তিদের ‘ওভারসিজ সিটিজেনশিপ’ দেয় ভারত।
১৯৫৫ সালে পাশ হয় ইন্ডিয়ান সিটিজেনশিপ অ্যাক্ট। এই অ্যাক্টে ‘দ্বৈত নাগরিকত্বকে’ পুরোপুরি অস্বীকার করা হয়েছিল। পরে ২০০৩ সালে এই অ্যাক্ট পরিবর্তন করে ‘পিপল অফ ইন্ডিয়ান অরিজিন’দের জন্য আংশিক দ্বৈত নাগরিকত্বকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
অর্থাৎ এমন কোনো ব্যক্তি যারা দাদু, ঠাকুমা, বাবা, মার কেউ ভারতের নাগরিক ছিলেন সে ভারতে নাগরিকত্বের সুবিধা নিতে পারবে। যদি সে অন্য দেশের নাগরিক হয় তাও (তবে সেক্ষেত্রে ব্যক্তি যে দেশের নাগরিক রয়েছেন সেই দেশে দ্বৈত নাগরিকত্ব স্বীকৃত হতে হবে)।
এরপর ২০০৫ সালে আবার এই আইনে পরিবর্তন আনা হয়। সেখানে বলা হয় এই সুবিধা (আংশিক দ্বৈত নাগরিকত্বের সুবিধাটি) বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের নাগরিকরা বাদে কমনওয়েলথভুক্ত দেশের ভারতীয় বংশোদ্ভূত নাগরিকরা পাবেন।
এরপর ২০০৬ সালে “প্রবাসী ভারতীয় দিবসে” ওভারসিজ সিটিজেনশিপ (আংশিক দ্বৈত নাগরিকত্ব) চালু হয়।
ওভারসিজ সিটিজেনশিপ থাকা প্রবাসী ভারতীয় ব্যক্তিরা ভারতীয় নাগরিকদের পাওয়া কিছু সুবিধা থেকে বঞ্চিত, তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হলো-
# তারা ভোট দিতে পারেন না।
# কোনো সাংবিধানিক পদে বসতে পারেন না।
‘ওভারসিজ সিটিজেনশিপ’-এর জন্যই ভোটাধিকার না থাকলেও কর্মের-অধিকার রয়েছে অক্ষয়ের।