তারেক-ফখরুলদের বিরুদ্ধে মামলা, তদন্তে পুলিশ

আইন ও বিচার ডেস্ক

তারেক-ফখরুল
তারেক-ফখরুল। ফাইল ছবি

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ছয় নেতার বিরুদ্ধে মুজিব কোট খুলে নেওয়া, পাঞ্জাবি ছিঁড়ে দেয়া ও ভয়ভীতি দেখানোর মামলা করেছেন  বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী।

অভিযোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ রোববার ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সুফিয়ান মোহাম্মদ নোমানের আদালতে এ মামলার আবেদন করেন জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে বংশাল থানার ওসিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশনা দেন।

universel cardiac hospital

মামলায় তারেক ছাড়া অপর আসামিরা হলেন- বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু চৌধুরী ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ৫ পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার বাদী এবি সিদ্দিকী। মামলার বাদীকে আইনগত সহায়তা করেন আইনজীবী কাজী রওশন আরা ডেইজি।

মামলার অভিযোগে বাদী বলেন, গত ৩০ এপ্রিল খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে একটি মানহানি মামলার হাজিরা দেয়ার জন্য সকাল ৭টায় রামপুরা থেকে ঢাকা-মাওয়া রোডের প্রচেষ্টা গাড়িতে রওনা হই। তাঁতীবাজার মোড়ে এসে নেমে হেঁটে আদালতের দিকে রওনা হই। আমার পেছন থেকে ৪-৫ যুবক পাঞ্জাবি ধরে টেনে গতি রোধ করে পাঞ্জাবি ছিঁড়ে ফেলে এবং আমাকে বলে ‘তোকে পেয়েছি আর ছাড়া যাবে না, কারণ তুই আমাদের মা ও আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে অনেকগুলো মামলা করেছিস। তোর মামলার কারণে আমাদের নেত্রী মুক্তি পাচ্ছে না। তাই তোকে আজ খুন করবো।

কারণ, আমাদের বিএনপির ঊর্ধ্বতন নেতারা হুকুম দিয়েছে ‘আমাদের বিরুদ্ধে মামলাকারী এ বি সিদ্দিকীকে যেখানে পাবি তাকে আটক করে প্রথমে আমাদের সকল মামলা প্রত্যাহার করে নেয়ার জন্য বাধ্য করবি। তাতে যদি রাজি না হয় তাহলে ওকে গুম করে খুন করে ফেলে দিবি।’ তাই আমরা আমাদের নেতাদের নির্দেশ পালনের জন্য তোকে সামনে পেয়েছি আর ছাড়া যাবে না। এখন বল মামলা প্রত্যাহার করবি কি না?” আমি জীবনের ভয়ে মামলা প্রত্যাহার করে নেয়ার কথা স্বীকার করেছি এবং বলেছি যে মামলা প্রত্যাহার করতে হলে মহামান্য আদালতের বিধান অনুযায়ী আইনগতভাবেই করতে হবে এর জন্য সময়ের প্রয়োজন, এই মূহুর্তে বললেই প্রত্যাহার করা যায় না।

তখন ওরা বলে ‘যা তোকে এক মাস সময় দিলাম । এক মাসের মধ্যে আমাদের নেত্রী ও অন্যান্য নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করে নিবি। তা নাহলে তোকে আবার ধরে এমনভাবে খুন করবো পৃথিবীর কেউ তোকে বাঁচাতে পারবে না।’ ওরা এ বলে আমার গায়ে থাকা মুজিব কোট খুলে নিয়ে যায় এবং পকেটে থাকা ২২০০ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে আমাকে বলে “কোন চিল্লাফাল্লা করবি না, এদিক ওদিক দেখবি না, সোজা আদালতের দিকে চলে যা, আর আমরা যা বলেছি এই শর্ত ভঙ্গ করবি না। নাহলে তোকে জাহান্নামে যেতে হবে এটা যেন মনে থাকে।”

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে