কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে চলন্ত বাসে এক নার্সকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় পুলিশ বাসচালক নুরুজ্জামান ও তার সহকারী মিলন মিয়াকে আটক করেছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, কটিয়াদী উপজেলার লোহাজুরি গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের মেয়ে শারমিন আক্তার তানিয়া ঢাকার কল্যাণপুর ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজের নার্স হিসেবে কর্মরত। গত কয়েক দিন আগে তার মা মারা যান।
বাবার সঙ্গে প্রথম রোজা রাখার জন্য সোমবার বিকালে ঢাকার মহাখালী থেকে কটিয়াদীর বাড়িতে আসার জন্য স্বর্ণলতা বাসে ওঠেন। পিরিজপুর থেকে তার বাড়ির দূরত্ব ১০ মিনিটের। শাহিনুর বিকালে বাসে উঠার পর থেকে তার বাবা এবং ভাইদের সঙ্গে মোবাইলফোনে বেশ কয়েকবার কথা হয়।
রাত ৮টার দিকে তিনি যখন মঠখোলা বাজার অতিক্রম করেন তখন তার বাবাকে ফোনে জানান, আধা ঘণ্টার মধ্যে বাড়ি পৌঁছতে পারবেন। সাড়ে আটটার দিকে বাসটি কটিয়াদী বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছলে তখনও তার ভাইয়ের সাথে মোবাইলফোনে কথা হয়।
তখন তিনি বলেন, আর পাঁচ/সাত মিনিট লাগবে পিরিজপুর পৌঁছতে। কটিয়াদী বাসস্ট্যান্ডে বাসের সমস্ত যাত্রী নেমে যায়। গাড়ির ড্রাইভার এবং হেলপার কৌশলে কটিয়াদী বাসস্ট্যান্ড থেকে তার সঙ্গে চার-পাঁচজনকে যাত্রীবেশে গাড়িতে তোলেন।
- আরও পড়ুন >> প্যাকেজ কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামছে বিরোধী জোট
কটিয়াদী বাসস্ট্যান্ড পার হয়ে দুই কিলোমিটার দূরবর্তী ভৈবর-কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের গজারিয়া জামতলী নামক জায়গায় শাহিনুরের লাশ পাওয়া যায়। স্বজনদের অভিযোগ, চলন্ত গাড়িতে ধর্ষণের পর তার গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
কটিয়াদীর ওসি (তদন্ত) শফিকুল আলম জানান, তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছ। তবে তার শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তিনি ধর্ষণের ভয়ে গাড়ি থেকে লাফ দিয়ে পড়ে মারা যেতে পারেন বলে জানান ওসি।
তবে তার বাবা গিয়াস উদ্দিন জানান, তার মেয়েকে রাতে গাড়িতে এক পেয়ে বাস ড্রাইভার ও হেলপার মিলে ধর্ষণ করে হত্যা করেছে।