রোজায় স্বাস্থ্যসম্মত খাবারের তালিকা

জীবন যাপন ডেস্ক

চিকিৎসকের পরামর্শে রোজায় প্রয়োজনীয় খাবারের তালিকা
চিকিৎসকের পরামর্শে রোজায় প্রয়োজনীয় খাবারের তালিকা। ছবি-সংগৃহিত

এই গরমে রোজা রাখার পর অতিরিক্ত ভাজা-পোড়া না খেয়ে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খেতে বলছেন চিকিৎসকরা। ইফতার থেকে সেহরি পর্যন্ত পর্যাপ্ত পানি ও তরল খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা। ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য রোজায় বেশি বা কম খাওয়া- দুটোই ক্ষতিকর। আর উচ্চ রক্তচাপ এবং হৃদরোগে আক্রান্তদের চর্বি জাতীয় খাবার পরিহার করতে হবে।

সারাদিন রোজা রাখার পর অনেকেই তেলে ভাজা, মুখোরোচক অনেক খাবার খেয়ে থাকেন। তবে এতে গ্যাস্ট্রিকের মারাত্মক সমস্যা হতে পারে। গরমের দিন তাই রোজা রাখার পর পানি শূন্যতা দেখা দিতে পারে। তাই প্রতিদিন ইফতার থেকে সেহরি পর্যন্ত পর্যাপ্ত পানি পানের পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদেরা।

প্রধান পুষ্টিবিদ তামান্না চৌধুরী জানান, ‘গরমের মধ্যে রোজা হচ্ছে। তাপমাত্রাও অনেক বেশি। তাই সুস্থ থাকার জন্য পানি বা তরল খাবারের ওপর জোর দিতে হবে। এছাড়া, এখন মৌসুমি ফল পাওয়া যাচ্ছে, এগুলো চিনি ছাড়া জুস করে যদি খাওয়া যায় তাহলে তরলের চাহিদা পূরণ করা যাবে।

universel cardiac hospital

এছাড়া, ভাত, নরম রুটি, চিড়া, শাগুদানা, অর্থ্যাৎ যেগুলো খুব তাড়াতাড়ি হজম হয়, সেগুলো আমাদের ইফতারের মেনুতে রাখতে হবে।’

ইফতারে ভাজাপোড়া, সফটড্রিংকস এবং চা কফি এড়িয়ে চলার পরামর্শ তাদের।

তিনি আরও জানান, ‘ভাত, সবজি, মাছ, মাংস সেহরিতে রাখা যেতে পারে। সেহরিতে ডাল, সালাত জাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকাই ভাল। আর যেই সবজিগুলো নরম তাড়াতাড়ি হজম হয় সেগুলো সেহরিতে খাওয়া ভালো।’

ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রোজায় কম খেলে ডায়াবেটিক রোগীদের রক্তে শর্করা কমে হাইপো অথবা বেশি খেলে শর্করা অতিরিক্ত বেড়ে হাইপারগ্লাইসেমিয়া হতে পারে।

ডায়াবেটিস, থাইরয়েড, হরমোন ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. এম এ হালিম খান জানান, ‘সকল প্রকার মিষ্টি খাবার থেকে বিরত থাকতে হবে এবং শরবতের সাথে চিনি না দেওয়াটা ভাল হবে। মাটির উপরে যেই সবজিগুলো হয় সেগুলো ইচ্ছে মতো খাওয়া যাবে। আর মাটির নিচে যেই সবজিগুলো হয় সেগুলো একটু কম থেকে হবে।’

ইফতারিতে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিশেষজ্ঞের যে পরামর্শ,

১. ইফতারিতে কাঁচা বা সিদ্ধ ছোলা,

২. শসা টমেটোর সালাদ,

৩. স্যুপ জাতীয় খাবার,

৪. দুধ-চিড়া

৫. টক জাতীয় ফল এবং

৬. লেবু বা ডাবের পানি খাওয়া।

আর, উচ্চরক্তচাপ এবং হৃদরোগে আক্রান্তদের চর্বি জাতীয় খাবার পরিহার করতে হবে।

এনআইসিভিডি কার্ডিওলজি বিভাগ সহযোগী অধ্যাপক ডা. প্রদীপ কুমার জানান, ‘যাদের ফুসফুসে পানি আছে অথবা কিছু দিন আগেই বাইপাস হয়েছে তাদেরকে আমরা সাধারণত রোজা রাখতে নিষেধ করি। আর যারা সাধারণত একটু স্টেবল রোগী তাদেরকে রোজা রাখতে বলি তবে নিয়মিত, পরিমিত এবং চর্বি ছাড়া খাবার খাবে সব সময়।’

তারাবির নামায আদায় করলে ব্যায়াম করার দরকার নেই। তারপরও কেউ চাইলে ইফতারের পর শরীরচর্চা করতে পারবেন।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে