বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ দুটি টেলিযোগাযোগ কোম্পানি আজিয়াটা গ্রুপ বারহাদ (আজিয়াটা) এবং টেলিনর গ্রুপ (টেলিনর) সোমবার একটি যৌথ মালিকানাধীন কোম্পানি গঠনের মাধ্যমে তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম একীভূত করার আলোচনা শুরুর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে। তবে রবি আজিয়াটা এ মার্জার প্রক্রিয়ার অংশ নয়।
মালয়েশিয়ায় অবস্থিত বিশ্বমানের দুটি টেলিযোগাযোগ গ্রুপের সম্ভাব্য এই মার্জার প্রক্রিয়া সফলভাবে সম্পন্ন হলে রবি, আজিয়াটা গ্রুপ বারহাদের অধীন একটি আলাদা ও স্বতন্ত্র কোম্পানি হিসেবেই পরিচালিত হবে।
এর অর্থ হলো এশিয়ার এ সম্ভাব্য বৃহৎ মার্জার বাংলাদেশের মোবাইল টেলিকম মার্কেটে কোনো সরাসরি প্রভাব ফেলবে না। যদিও এটা মনে রাখা প্রয়োজন যে, গ্রুপ পর্যায়ে সম্ভাব্য মার্জারের এই পুরো প্রক্রিয়াটিই এখনো আলোচনার পর্যায়ে রয়ে গেছে। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দুই পক্ষের লিখিত চুক্তির ওপর নির্ভরশীল।
- আরও পড়ুন>>৫০০ দিন পর মুক্ত রয়টার্সের দুই সাংবাদিক
এশিয়ার নয়টি দেশে আজিয়াটার ১২টির বেশি সাবসিডিয়ারি কোম্পানি বা ব্যবসা রয়েছে। সম্ভাব্য এই মার্জার প্রক্রিয়ার অনেক বিষয় এখনো চূড়ান্ত হওয়া বাকি এবং তা দুই পক্ষের একমত হওয়ার ওপর নির্ভরশীল।
বিনিয়োগকারীদের কাছে পুরো প্রক্রিয়াটিতে স্বচ্ছতা বজায় রাখার স্বার্থেই আজিয়াটা স্বেচ্ছায় সম্ভাব্য মার্জার বিষয়ক আলোচনার বিভিন্ন তথ্য প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
রবি আজিয়াটা লিমিটেড, মালয়েশিয়ার আজিয়াটা গ্রুপ বারহাদ, ভারতের ভারতী এয়ারটেল এবং জাপানের এনটিটি ডোকোমোর একটি যৌথ উদ্যোগ। এ কোম্পানিতে আজিয়াটার ৬৮.৭ শতাংশ, ভারতী এয়ারটেলের ২৫ শতাংশ এবং এনটিটি ডোকোমোর ৬ দশমিক ৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।