শহীদ আফ্রিদির সমালোচনার জবাব দিলেন জাভেদ মিয়াঁদাদ। বললেন, তার আত্মজীবনীর মূল উদ্দেশ্য অর্থ উপার্জন।
জাভেদ মিয়াঁদাদ নিন্দায় মুখ বন্ধ রাখার পাত্র নন। শুধু অপেক্ষা ছিল, শহীদ আফ্রিদির ‘ইট’-এর জবাব ‘পাটকেল’টা ছুড়ছেন কখন। পাকিস্তানের কিংবদন্তি এ ব্যাটসম্যান আফ্রিদির কড়া সমালোচনাই করেছেন। আত্মজীবনী ‘গেম চেঞ্জার’-এ আফ্রিদি জানিয়েছেন, মিয়াঁদাদের ওপর থেকে সব আস্থা তার উঠে গেছে। পাকিস্তান ক্রিকেটের ‘বড়ে মিয়া’খ্যাত মিয়াঁদাদ এমন কথার জবাবে বলেছেন, আফ্রিদি আগের মতো নেই। পাল্টে গেছে।
আত্মজীবনীতে একের পর এক বোমা ফাটিয়েছেন আফ্রিদি। নিজের আসল বয়স জানানোর পাশাপাশি ২০১০ সালের স্পট ফিক্সিং, বল টেম্পারিং ছাড়াও কয়েকজন ক্রিকেটারের সমালোচনাও করেছেন পাকিস্তানের সাবেক এ অধিনায়ক। গৌতম গম্ভীর, ওয়াকার ইউনিস ছাড়াও সমালোচনার শিকার হওয়া ক্রিকেটারদের একজন মিয়াঁদাদ। তাকে নিয়ে আফ্রিদি লিখেছেন, ‘মিয়াঁদাদের আমার ব্যাপারে নেতিবাচক ধারণা ছিল। ব্যাটিং করতে নামার (চেন্নাই টেস্ট, ১৯৯৯) আগের দিনও সে আমাকে নেট অনুশীলন করতে দেয়নি। তাই আমাকে আলাদা করে অনুশীলন করতে হয়েছিল।
চেন্নাই টেস্টে পাকিস্তান দলের কোচ ছিলেন মিয়াঁদাদ। পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংসে ১৪১ রানের ইনিংস খেলে দলের জয়ে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন আফ্রিদি। কিন্তু ম্যাচ শেষে অনেকটা জোর করেই তাকে দিয়ে আফ্রিদির প্রশংসা করানো হয়েছিল। আফ্রিদি এ নিয়ে তার বইয়ে লিখেছেন, সেদিন থেকেই তার ওপর থেকে আমার সব সম্মান উঠে গেছে। হ্যাঁ, সে হয়তো খেলাটার কিংবদন্তিদের একজন, বাস্তবে ছোট একজন মানুষ।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ‘এআরওয়াই স্পোর্টস’-এর সঙ্গে আলাপচারিতায় আফ্রিদির সমালোচনার জবাব দিয়েছেন মিয়াঁদাদ, সে আর আগের মতো নেই। পুরো পাল্টে গেছে। পাকিস্তান ক্রিকেটের সঙ্গে জড়িত সবার দৃষ্টিতেই তার আচরণ দুঃখজনক। সে বইটা লিখেছে টাকা কামাইয়ের জন্য।
আফ্রিদিকে নেতিবাচক চোখে দেখা দূরের কথা বরং তার পুরো ক্যারিয়ারজুড়েই উৎসাহ দিয়ে গেছেন দাবি মিয়াঁদাদের। ক্রিকেটের অন্যতম সেরা এই ব্যাটসম্যান স্মৃতি হাতরে সেটির উদাহরণও টেনেছেন, কানাডায় অসাধারণ সেঞ্চুরির সময় ড্রেসিংরুম থেকে আমি তাকে সমর্থন ও পরামর্শ দিয়েছিলাম।